করোনা আবহে পরিযায়ী শ্রমিকদের চাকরির সুরক্ষা দিল মনরেগা, ৮৩ লক্ষ পরিবারকে জব কার্ড
পরিযায়ী শ্রমিকদের চাকরির সুরক্ষা দিল মনরেগা
করোনা সঙ্কটের সময় মনরেগা লক্ষ লক্ষ বেকারকে সুরক্ষা দিতে পেরেছে। কোভিড–১৯–এ দেশের অর্থনৈতিক বিড়ম্বনাতেও বর্তমান আর্থিক বছরের প্রথম পাঁচমাসে এই স্কিমের আওতায় ৮৩ লক্ষ নতুন পরিবার জব কার্ড পেয়েছে। এনআরইজিএ পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, উল্লেখযোগ্যভাবে গত সাত বছরের তুলনায় এই সংখ্যাটি সর্বোচ্চ ছিল এ বছরের ১ এপ্রিল থেকে ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে।
গত বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে
গোটা ২০১৯-২০ সালে মোট ৬৪.৭০ লক্ষ জব কার্ড এ বছরের আর্থিক বছরে ২৮.৩২ শতাংশ লাফিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন জব কার্ডের তীব্র বৃদ্ধি সেই সময় হয়েছে যখন কোভিড-১৯-এর প্রকোপের কারণে বড় সংখ্যার এক পরিযায়ী শ্রমিকরা তাঁদের কর্মস্থল ছেড়ে নিজেদের গ্রামে ফিরে এসেছেন।
উত্তরপ্রদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি জব কার্ড
৮৩.০১ লক্ষ নতুন জব কার্ডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক জব কার্ড এসেছে উত্তরপ্রদেশ (২১.০৯ লক্ষ) থেকে, এরপর নাম রয়েছে বিহার (১১.২২ লক্ষ), পশ্চিমবঙ্গ (৬.৮২ লক্ষ), রাজস্থান (৬.৫৮ লক্ষ) ও মধ্যপ্রদেশ (৫.৫৬ লক্ষ)। এই রাজ্যগুলিতেই সবচেয়ে বেশি পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরে এসেছেন। শতাংশের দিক দিয়েও জব কার্ডের তালিকায় এগিয়ে সেই উত্তরপ্রদেশ (১৭৩ শতাংশ) গত বছর এই স্কিমের আওতায় ৭.৭২ লক্ষ জব কার্ড ইস্যু হয়েছিল, সেখান থেকে বৃদ্ধি পেয়ে এ বছর উত্তরপ্রদেশে এই কার্ডের সংখ্যা ২১.০৯ লক্ষ। উত্তরপ্রদেশের পর অন্ধ্রপ্রদেশ (১৫৪ শতাংশ) ও রাজস্থান (৬৯ শতাংশ)।
জব কার্ডে চাকরি কি করে পাবে
মনরেগা এই প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ পরিবার এই জব কার্ডে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করে। পরিবারের সব প্রাপ্তবয়স্কদের নাম ও ছবি থাকে এই কার্ডে, যাঁরা কাজের দাবি করতে পারবে এবং কাজ পেতে পারবে।
জব কার্ড বাতিলের নিয়ম
মনরেগা-এর নিয়মানুসারে, যদি কোনও পরিযায়ী স্থায়ীভাবে শহরে চলে যান তবে এই কার্ড বাতিল করে দেওয়া হবে বা যদি ভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কোনও পরিবার চলে গেলে সেই জব কার্ডটির আর কোনও বৈধতা থাকবে না। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ১০.৩৯ লক্ষ এনআরইজিএ জব কার্ড এই আর্থিক বছরে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে এবং ২০১৯-২০ সালে ১৩.৯৭ লক্ষ কার্ড বাতিল করা হয়। ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জব কার্ডের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪.৩৬ কোটি।
শেয়ার বাজারে 'ব্ল্যাক ফ্রাইডে', এক মিনিটে ২.২১ লক্ষ টাকা খোয়ালেন বিনিয়োগকারীরা