ভারত থেকে ছিন্ন হবে কাশ্মীর! ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার হলে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি মুফতির
কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারকে চরম বার্তায় ভারতের সঙ্গে কাশ্মীরের সম্পর্ক ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি দিলেন পিডিপি সুপ্রিমো মেহবুবা মুফতি।
কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারকে চরম বার্তায় ভারতের সঙ্গে কাশ্মীরের সম্পর্ক ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি দিলেন পিডিপি সুপ্রিমো মেহবুবা মুফতি। শনিবার জম্মু-কাশ্মীরের বিজেপি জোট সরকারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীই প্রশ্ন তোলেন, কেন মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্র আপনাদের সঙ্গে থাকবে? সরকার যদি ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে নেয়, তাহলেই সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে।
তখন কেন্দ্র-রাজ্যের সম্পর্ক নিয়ে নতুন কোনও শর্ত তৈরি করতে হবে। অবশ্যই তা নিয়ে পর্যালোচনায় বসতে হবে। অন্যথায় ভারত জম্মু-কাশ্মীর হারাবে। মেহবুবা মুফতির অভিযোগ, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থকেই বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা ও ৩৫-এ ধাকা তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আর তা নিয়েই বারেবারে উত্তপ্ত হয়েছে পরিস্থিতি।
#WATCH Mehbooba Mufti: If you break that bridge (Art 370)...then you will have to renegotiate relationship b/w India-Jammu&Kashmir, there will be new conditions...A Muslim majority state, would it even want to stay with you?...If you scrap 370, your relation with J&K will be over pic.twitter.com/HlAMZh3KcC
— ANI (@ANI) March 30, 2019
এর আগে একাধিকবার ৩৫-এ ধারা তুলে দেওয়ার চেষ্টায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল জম্মু-কাশ্মীর। তখন তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, আগুন নিয়ে খেলবেন না। স্বাধীনতার পর থেকে যা হয়নি, এই সরকার এসে তা করার চেষ্টা চালাচ্ছে। যা চলছে, তাতে সীমান্তে ভারতীয় পতাকা তোলার লোক পাওয়া যাবে না। তখন এমন পরিস্থিতি দাঁড়াবে, কাশ্মীরের মানুষদের উপর চাপ সৃষ্টি হবে অন্য দেশের পতাকা তোলার। সেটা ভারতের পক্ষে ভালো হবে না। কিন্তু এই সরকার কোনও কিছুই কানে তুলছে না।
তিনি বলেন, ৩৫-এ ধারা ৩৭০ ধারার সঙ্গে সংযুক্ত। এই দুই ধারার অধীনে কাশ্মীরের মানুষ সেই ১৯৫৪ সাল থেকে সুবিধা পেয়ে আসছে। তৎকালীন রাষ্ট্র্পতি রাজেন্দ্র প্রসাদের নির্দেশে ৩৫ এ ধারাকে সংবিধানের অন্তর্গত করা হয়েছিল। বর্তমানে এই ধারাটিকে অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করে শীর্ষ আদালতে মামলা করা হয়েছে। তাঁর কথায়, এখন শীর্ষ আদালত যদি ৩৫-এ ধারাকে অসাংবিধানিক বলে রায় দেয়, তবে ৩৭০ ধারাও অসাংবিধানিক বলে গণ্য হবে।