ওমিক্রনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়েছে ভারতে, একনজরে এর অর্থ ও প্রভাব
এখনও পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনার (coronavirus) যে কটি ভ্যারিয়েন্ট প্রভাব বিস্তার করেছে, তার মধ্যে বর্তমানের ওমিক্রনই (Omicron) সব থেকে বেশি সংক্রামক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওমিক্রন দেশে কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের (community tran
এখনও পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনার (coronavirus) যে কটি ভ্যারিয়েন্ট প্রভাব বিস্তার করেছে, তার মধ্যে বর্তমানের ওমিক্রনই (Omicron) সব থেকে বেশি সংক্রামক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওমিক্রন দেশে কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের (community transmission) পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। দেশের বিভিন্ন মেট্রো শহরে এই ভ্যারিয়েন্ট প্রভাব বিস্তার করে রয়েছে। পাশাপাশি ওমিক্রণের একটি সংক্রামক ভ্যারিয়েন্টেরও প্রধান পাওয়া গিয়েছে বলে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের অর্থ
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া ব্যাখ্যা অনুযায়ী, কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের অর্থ হল, বহুল সংখ্যক আক্রান্তের মধ্যে থেকে সংক্রমক শৃঙ্খলের উৎপত্তিকে নির্ধারণ করতে না পারা। সহজভাবে বলতে গেলে কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের অর্থ হল, একজন সংক্রমিত ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তির থেকে সংক্রমিত হয়েছে তা নির্ধারণ করতে না পারা। যা এই মহামারী পর্যায়ে দেখা গিয়েছে। আর ভাইরাসের কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের অর্থ হল সেই ভাইরাস কমিউনিটিতে মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
কোভিডের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন
কোভিডের
কমিউনিটি
ট্রান্সমিশনের
অর্থ
হল,
একজন
ব্যক্তি
যদি
করোনা
সংক্রমিত
হন,
তাহলে
তার
সংক্রমণ
কোনও
দেশ
সফরের
সঙ্গে
সম্পর্ক
যুক্ত,
সেখানে
এই
রোগটি
ইতিমধ্যেই
রয়েছে।
অথবা
কোনও
অপর
একজনের
সংস্পর্শে
এসেছে,
যিনি
আগে
থেকেই
সংক্রমিত।
কমিউনিটি
ট্রান্সমিশন
তখনই
হয়,
যখন
বহু
সংখ্যক
সংক্রমিত
মানুষের
মধ্যে
থেকে
উৎস
খুঁজে
পাওয়া
যায়
না।
স্বাভাবিকভাবেই
প্রশ্ন
এসে
যায়
কমিউনিটি
ট্রান্সমিশন
কি
ভয়ের?
স্বাস্থ্য
আধিকারিকদের
কাছে
কমিউনিটি
ট্রান্সমিশনের
অর্থটা
আলাদা।
কেননা
ভাইরাস
কমিউনিটিতেই
রয়েছে
কিন্তু
কেউ
তার
উৎস
জানানে
না,
কোথা
থেকে
এসেছে,
তা
নির্ধারণ
করা
যায়নি।
ভারত আগে কী বলেছিল
আগে
আইসিএমআর-এর
তরফে
জানানো
হয়েছিল
দেশে
মহামারী
সর্বোচ্চ
পর্যায়ে
পৌঁছে
গিয়েছে।
সেখানে
গোষ্ঠী
সংক্রমণের
কথাও
বলা
হয়েছিল।
যেভাবে
সংক্রমণ
ছড়ায়
তাকে
নিয়ন্ত্রণের
জন্য
পদক্ষেপও
নেওয়া
হয়।
যখন
টেস্টিং
এবং
কনট্যাক্ট
ট্রেসিং-এর
মাধ্যমে
সামান্য
কিছু
রোগীকে
সনাক্ত
করা
হয়,
তাই
রোগের
সংক্রমণকে
ধীর
গতি
করতে
সাহায্য
করে।
সেক্ষেত্রে
আক্রান্ত
ব্যক্তির
সঙ্গে
সংস্পর্শে
আসা
ব্যক্তি
কিংবা
ব্যক্তিবর্গকে
চিহ্নিত
করা
সম্ভব
হয়।
তারপরেই
তার
টেস্ট
এবং
আইসোলেশনের
মাধ্যমে
সংক্রমণের
গতিকে
বাধা
দেওয়া
হয়।
তবে
এই
ধরনের
পদক্ষেপ
কমিউনিটি
ট্রান্সমিশন
ঠেকাতে
ফল
দায়ক
নয়।
এইসব
ক্ষেত্রে
হসপিটাল
ম্যানেজমেন্ট,
ক্রিটিক্যাল
কেয়ারের
সুবিধা
বাড়ানো
কিংবা
জিনোম
সিকোয়েন্সি
সুবিধা
দিয়ে
থাকে।
কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ঘোষণা কীভাবে সাহায্য করে
কোনও রোগকে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বলে ঘোষণা করলে তা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কৌশল তৈরি সাহায্য করে থাকে। কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হল ভাইরাসের এমনই একটি ইনডেক্স, যেখানে আক্রান্ত ব্যক্তির কোনও পর্যটনের ইতিহাস নেই কিংবা তিনি কোনও আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন কিনা তা জানা যায় না।
বর্তমান পরিস্থিতিতে এগিয়ে যাওয়ার উপায়
বর্তমান পরিস্থিতিতে জীবনের চাকা থেমে নেই। এগিয়ে যেতে হবে এটাই স্বাভাবিক। সেই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওমিক্রণের সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি হলেও, তা ডেল্টার মতো মারাত্মক কিছু নয়। ওমিক্রনে আক্রান্ত হলেও বিশেষ কোনও সমস্যা তৈরি করছে না। কালের নিরিখে এই ভ্যারিয়েন্ট জায়গা করে নেবে, যেভাবে ডেল্টা আগেকার ভ্যারিয়েন্টকে সরিয়ে জায়গা করে নিয়েছে।