২০১৯-এ কে হবেন প্রধানমন্ত্রী! জন্মদিনেই আভাস দিলেন মায়াবতী, জোর জল্পনা
রাজনীতিতে একটি প্রবাদ আছে- উত্তরপ্রদেশ যার, দিল্লি তার। জন্মদিনে সেই বার্তাই দিলেন মায়াবতী। আগেই সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে উত্তরপ্রদেশে জোট চূড়ান্ত করেছিলেন তিনি।
রাজনীতিতে একটি প্রবাদ আছে- উত্তরপ্রদেশ যার, দিল্লি তার। জন্মদিনে সেই বার্তাই দিলেন মায়াবতী। আগেই সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে উত্তরপ্রদেশে জোট চূড়ান্ত করেছিলেন তিনি। এদিন তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশই পথ দেখাবে দিল্লির। প্রধানমন্ত্রিত্বের পরবর্তী দাবিদার নিয়ে এর আগে অনেকেই অনেক মন্তব্য করেছেন, কিন্তু চুপ ছিলেন মায়াবতী। অবশেষে তিনিও মুখ খুললেন।
দিল্লির তখতে কে
জন্মদিনের শুভেচ্ছায় ভেসে গিয়ে মঙ্গলবার মায়াবতী সাফ জানান, কে প্রধানমন্ত্রী হবেন তা জানার জন্য লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু এটা নিশ্চিত যে, উত্তরপ্রদেশই ঠিক করবে দিল্লির তখতের পরবর্তী দাবিদার হতে চলেছেন কে।
জন্মদিনে সেরা তোফা
নিজের ৬৩তম জন্মদিবসে মায়াবতী বলেন, সপা-বসপা পার্টি কর্মীদের জয়ের স্বাদ দেওয়াটাই তাঁর মূল লক্ষ্য। উত্তরপ্রদেশে কাঙ্খিত জয় পেলে, সেটাই হবে এই জন্মদিনে তাঁর সেরা গিফট। নিজের জন্মদিন পালন করে তিনি দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে এই বার্তা দেন।
বিজেপিকে হারানোই লক্ষ্য
উল্লেখ্য, শনিবার মায়াবতী ও অখিলেশ যাদব আনুষ্ঠানিকভাবে জোট ঘোষণা করেন। তাঁরা বলেন, উত্তরপ্রদেশে তাঁরা এক সঙ্গে লড়বেন। বিজেপিকে হারানোই তাঁদের মূল উদ্দেশ্য। কংগ্রেসকে ব্রাত্য রেখে এই জোটের উদ্দেশ্যই সেদিন স্পষ্ট করে দেওয়া হয় সপা-বসপার তরফে।
কং-সঙ্গে ভরাডুবির শঙ্কা
কংগ্রেস জোটে থাকলে ভরাডুবির আশঙ্কা থাকে। তাই কংগ্রেসকে জোটের বাইরে রেখেই বিজেপিকে হারানোর ছক কষেছেন মায়াবতী ও অখিলেশ। আমেঠি ও রায়বেরিলি দুটি কেন্দ্র শুধু ছেড়ে রাখা হয় রাহুল গান্ধীর দলের জন্য।
উত্তরপ্রদেশ যার, দিল্লি তার
এদিন তাঁর যুক্তি, উত্তরপ্রদেশের ৮০টি লোকসভা আসন। এই রাজ্য থেকে যে দল বেশি আসন নিজেদের দখলে রাখতে পারবে, সেই দলই এগিয়ে থাকবে প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে। আগেই অখিলেশও বার্তা দিয়েছিলেন, তিনি চান উত্তরপ্রদেশ থেকে কেউ প্রধানমন্ত্রী হন। সেটা কে, বলবে ভবিষ্যৎই।