জোটে ঠাঁই হল না, শুধু ‘দয়া’ জুটল কংগ্রেসের! ১৯-এর যুদ্ধে ‘দু-নৌকায় পা’ পিসি-ভাইপোর
পিসি-ভাইপোর জোটে ব্রাত্যই রইল রাহুলের কংগ্রেস। মহাজোট হল না, শুধু দয়া-দাক্ষিণ্য দেখিয়ে দুটি আসন ছেড়ে রাখা হল রাহুল গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধীর জন্য।
পিসি-ভাইপোর জোটে ব্রাত্যই রইল রাহুলের কংগ্রেস। মহাজোট হল না, শুধু দয়া-দাক্ষিণ্য দেখিয়ে দুটি আসন ছেড়ে রাখা হল রাহুল গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধীর জন্য। সপা-বসপা জোট ঘোষণা করে মায়াবতী-অখিলেশ সাফ জানিয়ে দিলেন, তাঁরা কংগ্রেস ও বিজেপির সঙ্গে সমদূরত্ব বজায় রেখেই চলবেন। আর এই ঘোষণার ফলে স্পষ্ট হল, মায়াবতী ও অখিলেশ দু-নৌকায় পা দিয়েই চলবেন।
জোটে ব্রাত্য, ভবিষ্যতে আছে
অর্থাৎ কংগ্রেসের সঙ্গে জোট না করে, শুধু দয়া-দাক্ষিণ্য দেখিয়ে যেমন চলবেন তাঁরা, তেমনই বিজেপিকে আটকাতে ভোটের পর কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে যাওয়ার রাস্তাও খোলা রাখবেন। রাহুল গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধীর আসনে প্রার্থী না দিয়ে তা-ই বুঝিয়ে দিলেন মায়াবতী-অখিলেশরা। পিসি-ভাইপো জোট বেঁধে জানালেন, তাঁদের এই ‘মহা'জোট বিজেপির নামও নিশান মুছে দেবে উত্তরপ্রদেশ থেকে।
কংগ্রেস-বিজেপি একইরকম খারাপ
মায়াবতী বলেন, কংগ্রেসের কু-শাসনে দেশ পিছিয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে কংগ্রেসই বেশি সময় ক্ষমতায় ছিল। কংগ্রেসের শাসনে বেকারি, গরিবি বেড়েছে। কেন্দ্রে কংগ্রেস-বিজেপি একইরকম খারাপ। সেই জন্যই কংগ্রেস ও বিজেপির থেকে সমদূরত্ব বজায় রেখে চলেছি। এই জোট বিজেপিকে ঠেকানোর জন্যই। তাঁদের জোটের ফলে মোদী-শাহের ঘুম উড়ে যাবে।
বিজেপি বিরোধী জোটে নেই কংগ্রেস
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে উত্তরপ্রদেশের এই জোট রাজনৈতিকভাবে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেসী-রাজ চলে যাওয়ার পর দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজবাদী পার্টি। তাঁরাই এখন বিজেপিকে আটকাতে জোট গড়ছে। সেই জোটে আবার দেশের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস নেই।
রাহুল-সোনিয়াকে ‘দয়া’
জোটে কংগ্রেসকে না রাখলেও, রাহুল-সোনিয়াকে ‘দয়া' দেখানো হচ্ছে। তাঁদের কেন্দ্র যথাক্রমে আমেথি ও রায়বেরিলিতে দুই দলই প্রার্থী দেবে না কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ফলে এই দুই কেন্দ্রের লড়াই সরাসরি কংগ্রেস বনাম বিজেপির। অন্য কেন্দ্রে বিজেপির একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী থাকবে না, সেখানে লড়াই হবে ত্রিমুখী।
নজর কংগ্রেসের ভূমিকায়
এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস কী ভূমিকা নেয়, তার উপর নির্ভর করবে একের বিরুদ্ধে একের লড়াই কোন কোন আসনে হয়। আর কতগুলি আসনে হয় ত্রিমুখী লড়াই! উল্লেখ্য, ত্রিমুখী আসনে লড়াই হলে সুবিধা বিজেপির। এরপর কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর অবস্থানের উপর নির্ভর করবে অনেক কিছুই।