মায়াবতী, আদিত্যনাথ দু'জনই কমিশনের কোপে পড়লেও মমতার মতে, বিএসপি নেত্রী যা বলেছেন, তা সততার সঙ্গে
যদিও তাঁরা দুজনেই নির্বাচনী প্রচারে বিতর্কিত মন্তব্য করে নির্বাচনের কমিশনের রোষানলে পড়েছেন, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের দু'জনকে এক আসনে বসাতে নারাজ।
যদিও তাঁরা দুজনেই নির্বাচনী প্রচারে বিতর্কিত মন্তব্য করে নির্বাচনের কমিশনের রোষানলে পড়েছেন, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের দু'জনকে এক আসনে বসাতে নারাজ। সম্প্রতি নিউজ ১৮ নেটওয়ার্ককে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে মমতা বলেন যে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং বিএসপি নেত্রী তথা সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী দু'জন্ই কমিশনের খাঁড়ার নীচে পড়লেও তাঁদের বক্তব্যে ফারাক ছিল। মমতার মতে, মায়াবতী যা বলেছেন তা তাঁর হৃদয়প্রসূত ছিল আর আদিত্যনাথ যা বলেছেন তা আদতে ভয়ঙ্কর।
মায়াবতী, আদিত্যনাথের মন্তব্যের প্রেক্ষিত ভিন্ন, মনে করেন মমতা
নিউজ ১৮ নেটওয়ার্কের এডিটর-ইন-চিফ রাহুল জোশীর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মমতা বলেন যে নির্বাচন কমিশনের মতো নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চান না কিন্তু পাশাপাশি এও বলেন যে কমিশনের নিষেধাজ্ঞার কোপে পড়া দুই নেতা-নেত্রীর মন্তব্যের কারণ ছিল ভিন্ন।
'আমি সবার কাছেই ভোট চাই'
যোগী আদিত্যনাথ এবারের প্রচার পর্বে এই নির্বাচন "আলী বনাম বরংবলী" বা মুলসিম লিগ "সবুজ বিষ" জাতীয় মন্তব্য করার পরে কমিশন তাঁর উপরে প্রচার করার ক্ষেত্রে ৭২ ঘন্টার জন্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। আবার মায়াবতী সংখ্যালঘু ভোটারদের ভোট ভাগাভাগি না করার আর্জি জানালে তাঁকেও ৪৮ ঘন্টার জন্যে নির্বাচন প্রচারের থেকে দূরে সরিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। মায়াবতীর মন্তব্যের ব্যাপারে তাঁকে সরাসরি প্রশ্ন করা হলে মমতা বলেন যে ওই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত জানানোর পরে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চান না, তবে এটা জানিয়ে রাখেন যে তিনি সর্ব সম্প্রদায়কেই তাঁর পক্ষে ভোট দেওয়ার আর্জি জানিয়ে থাকেন।
[আরও পড়ুন: একই মঞ্চে মুলায়ম, মায়াবতী আজ মৈনপুরীতে; ২৪ বছর পর; লক্ষ্য, মোদীর বিদায়]
পরোক্ষে কমিশনকে ঠুকলেন মমতা
এই সাক্ষাৎকারে পরোক্ষে কমিশনকে ঠুকতেও মমতা পিছপা হননি। যদিও বলেছেন যে প্রতিষ্ঠানটির প্রতি তাঁর পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে, কিন্তু এটাও যোগ করে বলেন যে তিনি অনেক সময়েই লক্ষ্য করেছেন যে কমিশনের নেওয়া সিদ্ধান্তগুলি আদতে বিজেপিরই পরিকল্পনার প্রতিফলন।
[আরও পড়ুন:পশ্চিমবঙ্গ লোকসভা নির্বাচন ২০১৯-এর সব রকমের আপডেট পেতে ক্লিক করুন]