লকডাউনে মন্দা অটো মোবাইল শিল্পে, এপ্রিলে একটিও গাড়ি বিক্রি হল না মারুতী সুজুকির
লকডাউনে মন্দা অটো মোবাইল শিল্পে, এপ্রিলে একটিও গাড়ি বিক্রি হল না মারুতী সুজুকির
লকডাউনে জেরে বন্ধ রয়েছে দেশের প্রায় প্রতিটি শিল্প ক্ষেত্র। টেক্সটাইল থেকে কৃষিক্ষেত্র আর্থিক মন্দা প্রতিটি ক্ষেত্রেই। এবার করোনা প্রাদুর্ভাবের জেরে তীব্র সঙ্কটে অটোমোবাইল শিল্পও। এবার তার জেরে ব্যবসা শুরুর পর থেকে এই প্রথমবার একটিও গাড়ি বিক্রি হল না মারুতী সুজুকীর।
এপ্রিলে বিক্রি হল না একটিও গাড়ি
লকডাউনের জেরে গোটা দেশই প্রায় গৃহবন্দী। আর তার জেরে গোটা এপ্রিলে বিক্রি হল একটিও গাড়ি। বর্তমানে লকডাউনের জেরে এমনই তীব্র সঙ্কটে অটোমোবাইল সংস্থা মারুতি সুজুকি। এদিকে সরকারি নির্দেশ আসার পর থেকেই ২২ মার্চ থেকেই প্রায় সমস্ত রকম গাড়ির উত্পাদন বন্ধ রেখেছিল সংস্থাটি।
গোটা বিশ্বেই বন্ধ গাড়ির উত্পাদন
মারুতি সুজুকি ছাড়াও প্রায় একই অবস্থা ভারতের অন্যতম বড় গাড়ি উৎপাদনকারী সংস্থা মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা, মার্সিডিজ বেনজ, ফিয়াট ক্রিসলারেরও। বন্ধ রয়েছে তাদের গাড়ির উৎপাদনও। পাশাপাশি গোটা বিশ্বজুড়েই প্রায় বন্ধ গাড়ি উৎপাদন। প্রথমে ইউরোপ, কানাডা, মেক্সিকো ও আমেরিকা জুড়ে গাড়ি কারখানাগুলি বন্ধ হয় এবং তার পরপরই তাদের ভারতীয় শাখাগুলি এই সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানা যাচ্ছে।
বন্ধ পুনের সর্ববৃহৎ গাড়ি তৈরির কারখানাটি
অন্যদিকে ভারত সরকার যতদিন পর্যন্ত বিধিনিষেধ লাঘু রাখবে, ততদিন পর্যন্ত কোনোরকম গাড়ি উৎপাদন করবে না বলে জানিয়েছে মারুতি সুজুকী। ভারতে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত মহারাষ্ট্রেই ভারতের সর্ববৃহৎ গাড়ি তৈরির কারখানাটি অবস্থিত, লকডাউন না ওঠা পর্যন্ত পুনের সেই কারখানাটি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।