তিনদিক দিয়ে বিপদের সম্মুখীন ভারত! অন্ধকার সময়ের আশঙ্কাবাণী মনমোহন সিংয়ের গলায়
ভারত আসন্ন বিপদের সম্মুখীন। তাও আবার তিনদিক দিয়ে। এমনই আশঙ্কাবাণী শোনালেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। শুক্রবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং একটি সংবাদপত্রে তাঁর একটি রলামে লেখেন, সামাজিক বিশৃঙ্খলা, অর্থনৈতিক মন্দা এবং বিশ্বজুড়ে মহামারীর এই ত্রিভূজ ভারতের আত্মাকে ক্ষত বিচ্ছিন্ন করে দেবে।
সামাজিক বিশৃঙ্খলা নিয়ে যা বললেন মনমোহন
নিজের লেখায় মনমোহন সিং দিল্লিতে ঘটা হিংসার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, আমাদের সমাজের কিছু বিশৃঙ্খল মানুষ এই ঘটনার জন্য দায়ি। পাশাপাশি রাজনৈতিক বহু নেতাও এই বিশৃঙ্খল মানুষদের দলে পড়ে। এরা সম্মিলিত ভাবে সাম্প্রদায়িক এই হিংসার আগুনে ঘি ঢেলেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ
পাশাপাশি গত কয়েক মাসে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসগুলিতে ঘটে যাওয়া ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি লেখেন, 'ভারতে ইতিহাসের অন্ধকার কালকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে গত কয়েক মাস। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, পাবলিক প্লেস এবং বাড়ি-ঘরেও হিংসাত্মক সাম্প্রদায়িক উস্কানি বয়ে চলেছে। আইন-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠানগুলি নাগরিকদের সুরক্ষা না দিয়ে নিজেদের ধর্ম ত্যাগ করেছে। ন্যায়বিচারের প্রতিষ্ঠান এবং গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ, মিডিয়াও আমাদের হতাশ করেছে।'
সামাজিক অস্থিরতার কারণে ঢাকা পড়ছে অর্থনৈতিক মন্দা
অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে এরকম সামাজিক অস্থিরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তিনি লেখেন, 'বিনিয়োগকারী, শিল্পপতি এবং উদ্যোক্তারা নতুন প্রকল্প শুরু করতে রাজি নয় এবং তাদের ঝুঁকি নেওয়ার ইচ্ছাও হারিয়েছেন। সামাজিক অস্থিরতা এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা কেবল তাদের ভয় আরও বাড়িয়ে তুলেছে।'
অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনাকে ঢাকা দেওয়া হচ্ছে!
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লেখেন, 'সত্যটি হল দেশের বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত মারাত্মক। আমরা যে ভারতকে জানি এবং লালন করি সেই ভারত দ্রুত পিছলে পড়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়িয়ে অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনাকে ঢাকা হচ্ছে। জাতি হিসাবে আমরা যে গুরুতর ঝুঁকির মুখোমুখি হয়েছি সেগুলির সমাধান করার সময় এসেছে।' এছাড়া ভআরতের উপর করোনা আতঙ্কের কথাটিও উঠে আসে তাঁর লেখায়।