চিন ও পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে মোদী সরকারকে এক হাত মনমোহন সিংয়ের
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং কেন্দ্রের বিজেপি-নেতৃত্বাধীন সরকারের নিন্দা করেছেন এবং অভিযোগ করেছেন এই সরকারের সীমান্ত নীতিগুলি এবং অর্থনৈতিক বিষয়ে কোনও ধারণা নেই।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং কেন্দ্রের বিজেপি-নেতৃত্বাধীন সরকারের নিন্দা করেছেন এবং অভিযোগ করেছেন এই সরকারের সীমান্ত নীতিগুলি এবং অর্থনৈতিক বিষয়ে কোনও ধারণা নেই। মূলত সীমান্ত নীতিগুলি বলতে তিনি ভারতের মধ্যে চিন যেভাবে ঢুকে পড়ছে সেই বিষয়ে মোদী সরকার সামাল দিতে ব্যর্থ বলে তিনি মনে করেছেন। পাশাপাশি অর্থনৈতিক দিক দিয়ে মোদী সরকারের নীতি দেশের মানুষের ঋণ বাড়িয়েছে বলে তিনি বলেছেন।
তিনি
সরকারের
পররাষ্ট্রনীতিকে
আরও
আক্রমণ
করে
বলেন,
"ইস্যুটি
শুধু
জাতির
মধ্যে
সীমাবদ্ধ
নয়।
এই
সরকার
পররাষ্ট্রনীতিতেও
ব্যর্থ
হয়েছে।
তিনি
বিজেপি
সরকারকে
ভারতের
সীমান্তের
কাছে
চিনা
অনুপ্রবেশের
বিষয়টি
চাপা
দেওয়ার
চেষ্টা
করার
অভিযোগ
করেছেন।
প্রাক্তন
প্রধানমন্ত্রী
অভিযোগ
করেছেন
"চিন
আমাদের
সীমান্তে
বসে
আছে
এবং
ওদের
দমন
করার
চেষ্টা
করা
হচ্ছে
না,"।
তিনি
বিজেপি
নেতাদের
আরও
নিন্দা
করে
বলেছেন,
"রাজনীতিবিদদের
আলিঙ্গন
করে
বা
বিনামূল্যে
বিরিয়ানি
খেতে
গিয়ে
সম্পর্কের
উন্নতি
হয়
না।বড়
বড়
কথা
বলা
সহজ,
কিন্তু
সেগুলোকে
বাস্তবে
প্রয়োগ
করা
খুবই
কঠিন,"
বলেছেন
মনমোহন
সিং।"
মনমোহন
সিং
অর্থনৈতিক
প্রসঙ্গে
বলেছেন
বলেন,
"কেন্দ্রীয়
সরকারের
অদ্ভুত
নীতির
জন্য
ধনীরা
আরও
ধনী
হচ্ছে
আর
দরিদ্ররা
আরও
গরিব
হচ্ছে,"।
মনমোহন
সিং
আরও
বলেন,
"এই
সরকারের
নীতির
পাশাপাশি
উদ্দেশ্য
দুটোতেই
সমস্যা
রয়েছে।"
মনমোহন সিং তিনি পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন স্নাতক। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রশাসক হিসাবে, ভারতীয় যোজনা কমিশনের সহ সভাপতি হিসাবে কার্যভার পালনের পর ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী নরসিমহা রাও এর মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত। অর্থমন্ত্রী হিসাবে কার্যকালে ১৯৯১ সালে ভারতীয় অর্থনীতির পুনর্গঠনের ফলস্বরূপ লাইসেন্স রাজ প্রথার অবলুপ্তির ক্ষেত্রে তাঁর অবদান বিশেষভাবে প্রসংশিত হন। তাই তিনি অর্থনৈতিক দিকগুলো খুব ভালোভাবে জানেন। বোঝেন ভারতের অর্থনীতিকে, বোঝেন পররাষ্ট্রনীতিও।
২০০৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর অপ্রত্যাশিত ভাবেই মনমোহন সিং ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ এলায়েন্স (UPA) জোটের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে মনোনীত হন। ২২ মে ২০০৪ সালে তিনি প্রথম মনমোহন সিং মন্ত্রিসভার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন। মনমোহন সিং মন্ত্রিসভা প্রথম পাঁচ বছর সরকারি অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতা দূরীকরণ, দরিদ্র চাষীদের ঋণ মুক্তি এবং শিল্প-মুখী অর্থনীতি ও কর নীতির প্রতি বিশেষ গুরুত্য আরোপ করেছিলো।
২০০৯ সালে সাধারণ নির্বাচনে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের জয়লাভের পর ২২ মে ২০০৯ , তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পুনর্নির্বাচিত হন এবং তিনিই জওহরলাল নেহরুর পর প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি পুরো পাঁচ বছর কার্যভার সম্পাদনের পর পুনরায় নির্বাচিত হন।