সরকারের ওপর কর্তৃত্ব নেই মনমোহনের, বইয়ে দাবি প্রাক্তন সচিবের
'ক্রুসেডার অর কনস্পিরেটর: কোলগেট অ্যান্ড আদার ট্রুথ' শীর্ষক বইয়ে পি সি পারখ দাবি করেছেন, "২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। বিজেপি সাংসদ ধর্মেন্দ্র প্রধান আমাকে অপমান করায় আমি পদত্যাগ করব ঠিক করেছিলাম। প্রধানমন্ত্রীকে বলায় উনি বললেন, 'আমিও একই ধরনের পরিস্থিতিতে পড়ি প্রতিদিন। কিন্তু এমন প্রত্যেকটি পরিস্থিতিতে যদি পদত্যাগ করতে হয়, তা হলে সেটা দেশের স্বার্থের পক্ষে সুখকর হবে না।'"
তিনি আরও লিখেছেন, "মনমোহন সিং পদত্যাগ করলে দেশ এর চেয়ে ভালো প্রধানমন্ত্রী পেত কি না, জানা নেই। আসলে তিনি এমন একটি সরকার চালাচ্ছেন, যেখানে তাঁর কোনও রাজনীতিক কর্তৃত্ব নেই। নিজের পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি থাকা সত্ত্বেও টু-জি এবং কোলগেট মামলায় তা সাঙ্ঘাতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।"
এদিকে, পি সি পারখের এই বই ঘিরে উল্লাস ছড়িয়ে পড়েছে বিজেপি শিবিরে। তাদের বক্তব্য, মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী হলেও আসলে যে সোনিয়া গান্ধী দেশ চালান, তা ফের প্রমাণ হয়ে গেল। বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিং টুইটারে লিখেছেন, "প্রধানমন্ত্রী পদের কর্তৃত্ব লঘু করে দিয়ে গত দশ বছর ধরে দায়িত্বহীন ক্ষমতা ভোগ করেছে কংগ্রেস নেতৃত্ব।"
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন মিডিয়া উপদেষ্টা সঞ্জয় বারু প্রায় একই অভিযোগ এনেছেন তাঁর লেখা বইয়ে। কীভাবে রাজনীতির জটিল সমীকরণে পড়ে 'দুর্ঘটনাবশত' তিনি প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসে পড়েছেন, তা দেখানো হয়েছে। কংগ্রেস অবশ্য পুরো ব্যাপারটাকে কল্পকাহিনী বলে উড়িয়ে দিয়েছে তৎক্ষণাৎ।