উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার ঘনিষ্ঠ বিজয় নায়ার গ্রেফতার, ফের শিরোনামে দিল্লি
আবগারি নীতির অপব্যবহারের অভিযোগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে টানা ১৫ ঘণ্টা জেরা করা হয়েছিল। তখনই তিনি নিজের গ্রেফতারির আশঙ্কা করেছিলেন।
আবগারি নীতির অপব্যবহারের অভিযোগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে টানা ১৫ ঘণ্টা জেরা করা হয়েছিল। তখনই তিনি নিজের গ্রেফতারির আশঙ্কা করেছিলেন। এরপর তিনি গ্রেফতার না হলেও উপ মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বিজয় নায়ারকে গ্রেফতার করা হল। দিল্লি পুলিশ মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করে।
সম্প্রতি দিল্লি সরকারের বিরুদ্ধে আবগারি নীতি প্রত্যাহার সংক্রান্ত কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। এই দুর্নীতি-কাণ্ডে উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারপর এই ঘটনায় উঠে আসে বিজয় নায়ারের নাম। তাঁর বিরুদ্ধে পলাতক হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তিনি বিদেশে গিয়েছিলেন। দেশে ফিরতেই মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করা হল।
মঙ্গলবার সিবিআই অফিসে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল। মদরে লাইসেন্ল বরাদ্দ নিয়ে দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছিল, সেই ঘটনায় অনিয়ম ছাড়াও কারেটলাইজেশন ও ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সিবিআইয়ের অভিযোগ, ধৃত বিজয় নায়ারের মাধ্যমে একটি প্রচুর টাকা ঘুষের আদান প্রদান হয়েছিল।
সিবিআই এই ঘটনায় দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া ও বিজয় নায়ার-সহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। তাদের সঙ্গে কর্পোরেট সংস্থাগুলোর সম্প্ক খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। এই তালিকায় বেশ কয়েকটি সংস্থাও রয়েছে। একটি মুম্বইয়ের বিনোদন সংস্থার খোঁজ মিলেছে। তার সঙ্গে বিজয় নায়ারের যোগসূত্রও খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তারপরই এই গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত।
বিজয় নায়ার কিছুদিন আম আদমি পার্টির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। কিন্তু কোনও পদে ছিলেন না। ২০০০-এর দশকরে গোড়ার দিকে পেন্টাগ্রামের মতো শীর্ষ ইন্ডি মিউজিক অ্যাক্টের জন্য ব্যান্ড ম্যানেজার হিসেবে পরিচিত লাভ করেন এবং ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি অনলি মাচ লাউডার প্রতিষ্ঠা করেন। এই সংস্থা লাইভ মিউজিক ফেস্টিভ্যাল এবং শেষপর্যন্ত কমেডি কালেকটিভ আয়োজনের জন্য সবথেকে বেশি পরিচিত।
আম আদমি পার্টি সিবিআইয়ের পদক্ষেপকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে বর্ণনা করেছে। তাদের দাবি বিজেপি সরকার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জাতীয় বিকল্প হিসেবে উত্থান দেশে ভয় পাচ্ছে। সেই কারণেই প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে কেন্দ্রী এজেন্সিকে লেলিয়ে দিয়েছে।
আবগারি নীতি লঙ্ঘন করে মদের দোকানের লাইসেন্স পাইযের দেওয়ার নামে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ বিজয় নায়ারকে গ্রেফতার করা হয়। বিজয় নায়ার গত মাসেই এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, তিনি দেশ থেকে পালিয়ে যাওার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি জানান ব্যক্তিগত কাজে তিনি বিদেশে গিয়েছেন।