হার্দিকের গালে সপাটে থাপ্পড়! মঞ্চেই হামলাকারীকে কড়া ‘শাস্তি’, তরজা কংগ্রেস-বিজেপির
গুজরাটে সুরেন্দ্রনগরে তখন ভরা সভায় বক্তব্য রাখছেন কংগ্রেস নেতা হার্দিক প্যাটেল। আচমকাই মঞ্চে উঠে গিয়ে এক ব্যক্তি সপাটে চড় কষালেন হার্দিকের গালে।
গুজরাটে সুরেন্দ্রনগরে তখন ভরা সভায় বক্তব্য রাখছেন কংগ্রেস নেতা হার্দিক প্যাটেল। আচমকাই মঞ্চে উঠে গিয়ে এক ব্যক্তি সপাটে চড় কষালেন হার্দিকের গালে। এক মুহূর্তের জন্য হতভম্ব হয়ে গেলেন সবাই। তারপরই ঘটে গেল ধুন্ধুমার কাণ্ড। নেতার গালে থাপ্পড়ের শাস্তি মিলল হাতেনাতে। মেরে হামলাকারীকে হাসপাতালে পাঠালেন কর্মীরা।
|
কেন এমন কাণ্ড
কিন্তু কেন হঠাৎ এমন কাণ্ড ঘটালেন ওই ব্যক্তি। কেন মঞ্চে উঠে হার্দিক প্যাটেলকে থাপ্পড় মারলেন তিনি? হাসপাতালের বেডে শুয়ে তিনি জানালেন সেই কথা। তাঁর কথাতেই বেরিয়ে এল প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার সেই কাহিনি। যার জেরে এতদিন পর প্রতিশোধ নিতে সমর্থ হলেন ব্যক্তি।
|
থাপ্পড়ের নেপথ্যে যে ঘটনা
হার্দিকের উপর হামলাকারা ব্যক্তি হলেন, গুজরাটে পতিদার আন্দোলনের সময় আমার স্ত্রী গর্ভবতী ছিলেন। তাঁর হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল। ওই আন্দোলনের কারণে স্ত্রীর চিকিৎসা নিয়ে আমাকে চরম সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। তখনই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আমি এই লোকটিকে আঘাত করব। তাঁকে উচিত শিক্ষা দেব।
|
পতিদার আন্দোলনের মুখ
সেই কারণেই ভরা সভায় মঞ্চে উঠে বর্তমানে কংগ্রেস নেতা পতিদার আন্দোলনের মুখ হার্দিকের উপর হামলা চালান ব্যক্তি। মঞ্চে উঠে হার্দিক প্যাটেলের গালে সপাটে থাপ্পড় কষান। শুক্রবার সকালে গুজরাটের সুরেন্দ্রনগর জেলায় কংগ্রেসের মঞ্চে ঘটে যায় ধুন্ধুমারকাণ্ড
গুজরাটে কংগ্রেসের প্রচারক
এবার গুজরাটের জামনগর থেকে নির্বাচনে লড়াই করার কথা ছিল হার্দিকের। কিন্তু তিনি আদালতের নির্দেশে নির্বাচনে লড়েত পারছেন না। তবে তিনিই এখন গুজরাটে স্টার প্রচারক হয়ে উঠেছেন কংগ্রেসের। তার মাঝেই এমন ঘটনায় খানিক অস্বস্তিতে পড়েছে কংগ্রেস। বক্তৃতা চলাকালীন হার্দিকের গালে চড় মারার পরই কংগ্রেস কর্মীরা তাঁকে ধরে ফেলেন। মারধর করেন হামলাকারীকে। তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।