দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বিজেপি! দিল্লি থেকে বিজেপিকে নিশানা মমতার, দেখে নিন ভিডিও
দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে দিল্লির বিশপদের সভায়ও এনআরসির ছায়া। নিজের ভাষণে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন মমতা। দেশকে বিজেপি গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে অতিথি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণে ছিল ভালবাসার বার্তা।
লাভ ইওর নেবার। কনস্টিটিউশন ক্লাবে সোমবার আয়োজিত বিশপদের সভায় এটাই ছিল বিষয়। শুরুতেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশীদের তাঁরা ভাল বাসেন। বিদেশিরা তাদের অতিথি। তাদের তারা ভালবাসেন বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। একথা বলতে গিয়ে উঠে আসে অসমের এনআরসি-র প্রসঙ্গ। আর এই প্রসঙ্গ উঠবে নাইবা কেন। দেশের প্রধান আলোচ্য বিষয় এখন এনআরসি। অনুষ্ঠানে দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ফকরুদ্দিন আলি আহমেদের পরিবারের সদস্যদের নাম এনআরসির তালিকা থেকে বাদ পড়ার ঘটনাও তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন্দ্রকে আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন অসমে হচ্ছেটা কী? হঠাৎ করে বলা হচ্ছে দেশ ছেড়ে চলে যাও। অসমের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিচার যখন কাঁদে তখন তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর পক্ষে তিনি। এই ধরনের পরিস্থিতি দেশে আগে তৈরি হয়নি বলেও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দেশকে বিজেপি গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কে কী খাবে, কী পড়বে, তা বিজেপি ঠিক করে দিতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।
দেশে দলিত ও আদিবাসীদের প্রতি অন্যায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই ধরনের ঘটনা তিনি কখনই সমর্থন করেন না। একইসঙ্গে গণপিটুনিতে মৃত্যু কেন হচ্ছে, তা নিয়েও কেন্দ্রকে প্রশ্ন করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে দুঃস্থদের জন্য মিশনারিরা কাজ করছেন বলে জানিয়ে মাদার টেরিজার সঙ্গে নিজের সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। কোনও এক রাতে সাহায্য চেয়ে মাদার আবেদন করার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ছুটে গিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। আর ১৯৯২-এ বাবরি মসজিদ ভাঙার দিন কলকাতায় দাঙ্গায় মাদার ও তাঁর পদে নামার কথাও উল্লেখ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।