বাংলায় লকডাউন কি বাড়ানোর পক্ষে মমতা! মোদীর বৈঠকে কোন রাজ্য কী জানাল
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয় আগেই জানিয়েছিলেন যে ২১ মে পর্যন্ত রাজ্যে করোনার লকডাউনের প্রস্তুতি সরকার নিয়ে রেখেছে। আর এরপর ১১ মে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের ম্যারাথন বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সহ একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাই লকডাউনের সপক্ষে বার্তা দিয়েছেন।
মমতার বক্তব্য
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে সাফ জানিয়েছেন যে তিনি চান বাংলায় লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হোক। তিনি ও তাঁর সঙ্গে আরও ৩ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাই লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করেন। তিনি অভিমানের সুরেই এদিন বলেন, 'সরকার যখন ট্রেন চালাচ্ছেই,বিমান উড়তে দিচ্ছে, আন্তর্জাতিক সীমানা খুলে দিচ্ছে , তাহলে লকজাউন আর বাড়ানোর কোনও মানে হয় কি!'
মহারাষ্ট্রের দাবি
মমতার সুরে সুর মিলিয়ে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর দাবিতে সরব হন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। উদ্ধব ঠাকরে এদিন দাবি করেন যে লকডাউন থাকলেও মহারাষ্ট্রে যেন লোকাল ট্রেন চলতে দেওয়া হয়। তাতে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার সঙ্গে যুক্তরা কাজে যেতে পারবেন।
পাঞ্জাবের বক্তব্য
মমতার সুরে সুর মিলিয়ে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং জানিয়েছেন তিনিও লকডাউন বৃদ্ধির সপক্ষে। তবে তার সঙ্গে যেন সতর্কতা মূলক একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয় ,সেবিষয়েও সওয়াল করেন অমরিন্দর সিং।
তেলাঙ্গানার দাবি
তামিলনাড়ু ও তেলাঙ্গানা কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাই লকডাউন আপাতত না তোলার পক্ষে। তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর জানিয়েছেন, তিনি চাননা রেল পরিষেবা চালু হোক। অন্যদিকে, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী পালানিস্বামীর দাবি ৩১ মে পর্যন্ত বিমান ও ট্রেন ২ টি পরিষেবাই যেন বন্ঝ রাখা হয়।