চিনা উপকূলে সুনামি! মালাবার নৌ-মহড়ার মাধ্যমেই বেজিংকে টেক্কা দেওয়ার ছক নয়াদিল্লির
লাদাখ অঞ্চলে যেখানে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া চলছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে ভারত ও চিনের লাগাতার বিরোধের আবহে ভারত, আমেরিকা, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া নামতে চলছে মালাবার নৌ-মহড়ায়। করোনা আবহে বিশাখাপট্টনম উপকূল থেকে শুরু হতে চলেছে ২৪তম মালাবার নৌমহড়া। ৩ থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এই যৌথ নৌ মহড়া। দুটি আলাদা পর্যায়ে এই মহড়া হবে।
নৌ-ক্ষেত্রে সহযোগিতা
ভারত, আমেরিকা ও জাপানের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়াকেও এই নৌ মহড়ায় যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। এই চার দেশের একটা পর্যায়ে নৌ-ক্ষেত্রে সহযোগিতায় যে প্রতীকী মনোভাব এবং সঙ্কেত ফুটে উঠছে তা তাৎপর্যপূর্ণ হলেও, কোয়াডের মহড়ার প্রভাব প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় যা ঘটছে তার উপরও পড়বে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
ভারত ও চিনের মধ্যে তুলনা
ক্ষমতার বিভিন্ন উপাদানে ভারত ও চিনের সার্বিক জাতীয় সক্ষমতার যদি তুলনা করা হয়। তা সে যৌথ উদ্যোগ হোক, আর্থিক সূচক হোক বা সামরিক-প্রযুক্তিতে অগ্রগতি। এবং এই সব ক্ষেত্রেই পাল্লা বেজিংয়ের দিকেই ভারী। একমাত্র নৌ চলাচল ছাড়া। এখানে ভৌগলিক অবস্থান এবং পাঁচ দশক ধরে ভারতের প্রমাণিত নৌ-সক্ষমতা দিল্লিকে এগিয়ে রেখেছে। কিন্তু সেটা সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য, এবং চিন এই ব্যবধান দ্রুত কমিয়ে আনছে।
নৌ-পরিবহনের ক্ষেত্রে চিন
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চিন নৌ-পরিবহনের ক্ষেত্রে তাদের নিজেদের উদ্বেগ ব্যক্ত করেছে, যাকে মালাক্কা দ্বন্দ্বও বলা হচ্ছে। এর পিছনে রয়েছে বিশ্বের মহাসাগরগুলিতে আমেরিকার আধিপত্য। চিন নৌশক্তির এই ভারসাম্যের অভাব মেটাতে দৃঢ় মনোভাব নিয়ে এগোচ্ছে। গত ২৫ বছরে পিএলএ নৌবাহিনীর অসাধারণ বৃদ্ধি হয়েছে। ঠাণ্ডা যুদ্ধের সময় কিংবদন্তি অ্যাডমিরাল গর্শকভ যেভাবে সোভিয়েত নৌবহরকে তৈরি করেছিলেন, তার সঙ্গে তুলনীয়।
ইন্দো-প্যাসিফিকের নৌপথে চিনের চ্যালেঞ্জ
ইন্দো-প্যাসিফিকের নৌপথ দীর্ঘমেয়াদীভাবে চিনের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করার সুযোগ করে দেয় কোয়াড জোট। আর তাই এখান কোয়াড গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এটা এখনও একটা চলমান প্রক্রিয়া। যার সামনে চিন এবং বাণিজ্য-প্রযুক্তি-পরিকাঠামো ক্ষেত্রে তাদের বিশ্বজুড়ে পদচিহ্ন নিয়ে বহু জটিলতা রয়েছে।
নির্বাচনে নয়া রেকর্ড বিজেপির! ফলাফল প্রকাশের আগেই বিহারে ইতিহাস সৃষ্টি পদ্ম শিবিরের