ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে বসছে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি
এই মুহূর্তে ভারত সফরে এসেছেন ওই ব্রিটিশ মন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক হবে। তিনি বলেছেন, মহাত্মা গান্ধীকে সম্মান জানাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
ব্রিটিশ সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য। কারণ, এখন যাঁরা সরকারে, তাঁদের পূর্বসূরীদের বিরুদ্ধেই লড়েছিলেন মহাত্মা গান্ধী। বারবার জেল খাটতে হয়েছে তাঁকে। অথচ এখন সেই মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি বসাতে হচ্ছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন মহাত্মা গান্ধী 'ভারত ছাড়ো' আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। তখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন উইনস্টন চার্চিল। তিনি তীব্রভাবে ঘৃণা করতেন মহাত্মা গান্ধীকে। যখন স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে গান্ধীজি অনশন শুরু করেছিলেন, চার্চিল বলেছিলেন, "আমি আশা করি, ওই নগ্ন ফকিরটা মরে যাবে।" এ নিয়ে সেই সময় বিস্তর সমালোচনা হয়েছিল। পার্লামেন্ট স্কোয়ারে যেখানে 'ভারতের জাতির জনক'-এর মূর্তি বসছে, তার কাছেই রয়েছে চার্চিলের মূর্তি। অর্থাৎ একদা দুই চিরশত্রু সহাবস্থান করবেন! শুধু তাই নয়, গান্ধীজি যখন দক্ষিণ আফ্রিকায় ছিলেন, সেই সময় সেখানকার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন জ্যান স্মাটস। তিনিও পছন্দ করতেন না গান্ধীজিকে। সেই স্মাটসের কাছাকাছিও এ বার স্থান পাবেন গান্ধীজি।
এই দফায় অসবোর্নের সঙ্গে এসেছেন বিদেশ সচিব উইলিয়াম হেগ-ও। তাঁরা ব্রিটিশ ব্যবসায়ীদের জন্য ভারতের বাজার খুলে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন।