ঘুন ধরছে পরিবারতন্ত্রে, কেন রাজনীতির মঞ্চে কোণঠাসা গান্ধী-যাদব-বাদল-ঠাকরেরা
ঘুন ধরছে পরিবারতন্ত্রে, কেন রাজনীতির মঞ্চে কোণঠাসা গান্ধী-যাদব-বাদল-ঠাকরেরা
আরও এক রাজনৈতিক পরিবার অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। বাল ঠাকরের আদর্শের নামে কোন ঠাসা উদ্ধবরা। একই অবস্থায় প্রাণপণে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে গান্ধী,যাদব,বাদলরা। ভারতে একের পর এক রাজনৈতিক পরিবারের অস্তিত্ব সংকটে। এবং গত ৮ বছর ধরে এই সংকট বেড়েছে দেশে। একের পর এক রাজ্যে কোণ ঠাসা হয়ে গিয়েছেন তাঁরা। গোটা দেশেই অস্তত্ব রক্ষার লড়াই চালাচ্ছে কংগ্রেস। মহারাষ্ট্রেও ঠাকরেদের উৎখাত করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।
সংকটে দেশের রাজনৈতিক পরিবারগুলি
কংগ্রেস মানেই গান্ধী পরিবার। কিন্তু এখন সেই গান্ধীরাই নিজেদের রাজনৈতিক অস্তত্ব রক্ষার লড়াই চালাচ্ছে। স্বাধীনতার আগে থেকে যে গান্ধী পরিবার মানুষের মনে গেঁথে গিয়েছিল। সেই গান্ধী পরিবার গত ৮ বছর সমর্থন হারাতে হারাতে কেবারে শূন্যে পরিণত হয়েছে। নিজেদের মধ্যেই দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে তারা। তাতে আরও মারাত্মক হয়েছে অস্তিত্ব রক্ষা। একই অবস্থা উত্তর প্রদেশের যাদবদেরও। যে যাদব বংশের শাসনেই চলত গোটা উত্তর প্রদেশ। তাঁরাই এখন গোটা রাজ্যে কোনঠাসা। তার উপর নিজেদের পারিবারিক বিবাদ। ২০১৪ থেকে ২০২২ একের পর এক হার স্বীকার করতে হয়েছে যাদবদের।
অস্তিত্ব সংকটে বাদলরা
পাঞ্জাবও অস্তিত্ব হারাতে বসেছে বাদলরা। পাঞ্জাব মানেই বাদল পরিবার ছিল। সেই বাদলরাই রাজনৈতিক জমি হারাতে হারাতে একেবারে শেষে পথে। যদিও উপনির্বাচনে একটু জয়ের মুখ েদখেছে তারা। সুখবীর সিং বাদল ২০১৪, ২০১৭, ২০১৯ থেকে ২০২২ একের পর এক ধাক্কার মুখে পড়েছে। কের পর এক নির্বাচনে হার শিকার করতে হয়েছে তাঁদের। অথচ ২০০৭ থেকে ২০১৭ টানা পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন প্রকাশ সিং বাদল। কিন্তু তারপর থেকে একের পর হার স্বীকার করতে হয়েছে তাঁদের।
লড়াই চালাচ্ছে ঠাকরের
এবার নজর পড়েছে ঠাকরে পরিবারের দিকে। মহারাষ্ট্র মানেই শিবসেনা। বাল ঠাকরের দাপট মহারাষ্ট্রে অস্বীকার করা কঠিনই শুধু নয় অসম্ভব ছিল। সেই ঠাকরের শিবসেনা এখন অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। দলের অন্দরে বিদ্রোহ এতটাই যে শিবসেনার জোট সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার নেপথ্যে রয়েছে সেই বিজেপি। শিন্ডে- উদ্ধব দুই ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে শিবসেনা দলটাই।
পরিবারগুলিই কেন ভাঙছে বিজেপি
মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকে পরিবার তান্ত্রিক রাজনীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন। এবং গত ৮ বছর ধরে খুব সন্তর্পণেই ভারতের রাজনৈতিক পরিবারগুলিকে কোনঠাসা করতে শুরু করেছিলেন মোদী-শাহ শিবির। তাঁরা বারবার কংগ্রেস মুক্ত ভারত গড়ার ডাক দিয়েছিল। কিন্তু সেটা যে বাস্তবে বিরোধী মুক্ত দেশে পরিণত করার মরিয়া প্রচেষ্টা চালাবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। আর তার খুব সহজ টার্গেট হয়ে উঠেছে দেশের রাজনৈতিক পরিবারগুলি। সেকারণেই সেই গুলিকে টার্গেট করেই এগোচ্ছে মোদী-শাহরা।
আপনারা এখনও শিবসেনার হৃদয়ে রয়েছে... বিদ্রোহীদের আবেগঘন বার্তা উদ্ধব ঠাকরের