ফের ভারতে খোঁজ মিলল ওমিক্রন আক্রান্তের, মহারাষ্ট্রে নতুন করোনা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত এক
গুজরাতের পর শনিবার মহারাষ্ট্রে আরও এক ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের খোঁজ মিলল। সবমিলিয়ে ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে পৌঁছল চার জনে। এর আগে কর্নাটকে দুজন করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন। সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, মুম্বইয়ের কল্যাণ ডোম্বিভালি এলাকায় এক ব্যক্তি ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দুবাই হয়ে দিল্লি ফেরেন।
দিল্লি থেকে মুম্বই আসেন ব্যক্তি
২৪ নভেম্বর ওই আক্রান্ত ব্যক্তি মুম্বই বিমানবন্দরে নামেন। সেই সময় তাঁর হালকা জ্বর ছিল। তিনি কোনও করোনা ভ্যাকসিন নেননি। জ্বর ছাড়া তাঁর আর কোনও উপসর্গ লক্ষ্য করা যায়নি। এমনটাই সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
কন্টাক্টে থাকা সকলে নেগেটিভ
আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ১২ জন হাই-রিস্ক কন্টাক্ট, ২৩ জন লো কন্টাক্ট এবং বিমানের আরও ২৫ জন সহযাত্রীর করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরা প্রত্যেকেই করোনা নেগেটিভ হয়েছেন। অর্থাৎ কারও শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়নি।
রয়েছে ডেল্টায় আক্রান্তও
আফ্রিকার দেশ জাম্বিয়া থেকে এক ব্যক্তি মহারাষ্ট্রে এসে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তিনি ওমিক্রন ভাইরাসে আক্রান্ত নন। তার শরীরে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে।
গুজরাতে তৃতীয় আক্রান্তের খোঁজ
এর আগে এদিন জিম্বাবোয়ে থেকে ভারতে আসা এক ব্যক্তির শরীরে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনা ঘটেছে গুজরাতের জামনগরে। সেটি ছিল ভারতে তৃতীয় ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ।
কর্নাটকে আক্রান্ত দুই
দিন দুয়েক আগে কর্নাটকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা দুজন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের খোঁজ মেলে। এই দুজনই ছিলেন ভারতে প্রথম আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া ব্যক্তিদ্বয়। তার মধ্যে একজন ইতিমধ্যে ভারত ছেড়ে বিদেশে চলে গিয়েছেন।
কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট কতটা সংক্রমক বা কতটা প্রাণঘাতী তা কিছুদিন না গেলে বোঝা যাবে না বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে। এর পাশাপাশি বর্তমানে যে ভ্যাকসিনগুলো রয়েছে সেগুলি এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের ওপর কতটা কাজ করবে সেটাও আন্দাজ করা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার বলে জানানো হয়েছে।
ভারতে করোনা ডোজের হাল
ভারতে ইতিমধ্যে ৯৪ কোটির বেশি লোক ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ নিয়ে ফেলেছেন। এছাড়াও মোট জনসংখ্যার ৮৪ শতাংশের বেশি মানুষ অন্ততপক্ষে প্রথম ডোজ নিয়েছেন। ফলে সংখ্যার বিচারে ভারতে ইতিমধ্যে জনসংখ্যার একটা বড় অংশ টিকাকরণের আওতায় চলে এসেছেন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরও সাড়ে ১২ কোটি মানুষের টিকাকরণ সম্পন্ন হবে।