মধ্যপ্রদেশে পদপৃষ্ট হয়ে মৃত ১১৫ তীর্থযাত্রী, আহত শতাধিক; সাসপেন্ড চার জেলা আধিকারিক
সোমবার মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ পাতিল দাতিয়া পরিদর্শনের পরেই কালেক্টর সঙ্কেত ভোন্দে, পুলিশ সুপার সি এস সোলাঙ্কি, এসডিএম মহিম তেজস্বী এবং পুলিশ মহকুমা অফিসার বি এ বাসাভেকে সাসপেন্ড করার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়। কমিশনের নির্দেশ পাওয়ার পরেই সরকারের সিদ্ধান্ত ওই চার আধিকারিককে জানানো হয়। সূত্রের খবর অনুযায়ী ওই চার আধিকারিকের সঙ্গে সেবধা পুলিশ স্টেশনের সমস্ত কর্মচারীকেও সাসপেন্ড করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু শুধু চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করার আবেদন মঞ্জুর করে কমিশন।
রবিবার সকাল ৯টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের গাফিলতি ছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে। এমনকী প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের অভিযোগ, ব্রিজ ভেঙে পড়ার যে গুজবের কারণে এই ঘটনা ঘটে তাও পুলিশকর্মীরাই রটিয়েছিল। এই পরই আতঙ্কে ওই সংকীর্ণ ব্রিজের উপর দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেন তীর্থাত্রীরা। ভিড়কে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের লাঠিচার্জ আগুনে ঘি ঢালার কাজ করে বলেও অনেকের দাবি। বিচারবিভাগীয় কমিশন এই সব অভিযোগ খতিয়ে দেখবে।
রবিবারের এই ঘটনাকে ২০০৬ সালের পুনরাবৃত্তি বলে মনে করেছেন অনেকে। এই একই জায়গায় ৫৬ জন তীর্থযাত্রী সিন্ধু নদীর জল ছাড়ার কারণে ৫৬ জন তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল। এই ঘটনার পরেই সিন্ধু নদীর উপর ব্রিজ বানিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু তীর্থযাত্রীদের ভিড় সামলানোর ক্ষেত্রে অব্যস্থা থাকার কারণে এবারের এই দুর্ঘটনা ঘটল। মৃতদের মধ্যে ৩১ জন মহিলা ও ১৭টি শিশু রয়েছে বলে সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন। নভেম্বরে বিধানসভা নির্বাচনের কারণে রাজ্যে মডেল কোড অফ কনডাক্ট জারি হয়ে গিয়েছে। তাই এই দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে দেড় লক্ষ টাকা, আহতদের ২৫ হাজার টাকা ও গুরুতর আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ হিসাবে দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে আর্জি জানাবে রাজ্য সরকার।