পঞ্চম রাজ্য হিসাবে সিএএ বিরোধী প্রস্তাবনা পাশ মধ্যপ্রদেশে! ক্রমেই চাপ বাড়ছে বিজেপির উপর
এর আগে চারটি অ-বিজেপি শাসিত রাজ্য ইতিমধ্যেই পাশ করেছে সিএএ বিরোধী প্রস্তাবনা। এবার সেই তালিকায় পঞ্চম রাজ্য হিসাবে যোগ হল মধ্যপ্রদেশের নাম। এর আগে কেরল, পাঞ্জাব, রাজস্থান ও পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা এই মর্মে প্রস্তাবনা পাশ করে।
সিএএ-র বিরুদ্ধে সরব হন বিজেপি বিধায়ক
এদিকে কয়েকদিন আগেই মধ্যপ্রদেশের বিজেপি বিধায়কও সিএএর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনটি দেশে বিভেদ সৃষ্টি করছে এই আইন, এমন অভিযোগ এনে নারায়ণ ত্রিপাঠী বলেন, 'এই আইনের জেরে গৃহ যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।' পদ্মশিবিরের ওই বিধায়কের মন্তব্য, 'ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ করা ঠিক নয়।' তিনি আরও বলেন, 'হয় আপনি বাবাসাহেব অম্বেদকরের লেখা সংবিধান মেনে চলুন, না হলে ছিঁড়ে ফেলে দিন।'
দেশের প্রতিটি রাস্তায় গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি
সেই বিজেপি বিধায়ক আরও বলেন, 'দেশের প্রতিটি রাস্তায় গৃহযুদ্ধের মতো পরিস্থিতি হয়েছে। আমাদের দেশের জন্য এটি মারাত্মক। গৃহযুদ্ধের মতো পরিস্থিতিতে আমরা উন্নয়ন কল্পনা করতে পারি না। আমি যখন এ জাতীয় পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন হয়েছি তখন থেকেই আমি এটির বিরোধিতা করেছি। শুধু আমার নির্বাচনী এলাকা মাইহারেই নয়, একই পরিস্থিতি দেশের বিভিন্ন জায়গায়।' বিজেপি বিধায়কের এই সিএএ বিরোধী সুরের মধ্যেই প্রস্তাবনা পাশ হওয়ায় অস্বস্তি বাড়ল বিজেপির।
আইন পাশ হতেই সরব হন বিরোধীরা
১২ ডিসেম্বর মধ্যরাতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে সই করেন রাষ্ট্রপতি। আর এর সাথেই আইনে পরিণত হয় সেটি। তবে এরই মাঝে এই সিএএ তাঁরা মানবেন না বলে জানিয়েছিলেন অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। কেরলের পিনরাই বিজয়ন ও পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো দাবি করেছেন যে তারা তাদের রাজ্যে সিএএ লাগু হতে দেবে না।
বল গড়িয়েছে সুপ্রিমকোর্টে
সিএএ বিরোধী রেজোলইউশন পাশ করেই রাজ্যগুলি থেমে থাকছে না। সিএএকে বিভেদ সৃষ্টিকারী আইন আখ্যা দিয়ে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কেরল ও ছত্তিসগড় সরকার। নাগরিকত্ব আইনকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিমকোর্টে মামলা দায়ের করে কেরল সরকার। কেরল প্রথম রাজ্য যারা এই পদক্ষেপ নেয়। সংসদে সিএএ পাশ হওয়ার পরেই এই আইনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টে জমা পড়েছিল ৬০টি পৃথক আবেদন। সেই আবেদনগুলির ভিত্তিতেই শুনানি হয় সুপ্রিমকোর্টে। তবে এই আইনের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া থেকে বিরত থাকে শীর্ষ আদালত।