নতুন বছরের শুরুতেই সেরে নিন ট্যুর প্ল্যান, সপ্তাহান্তের ছুটি দীর্ঘ হবে ২০২২-এ
নতুন বছরের শুরুতেই সেরে নিন ট্যুর প্ল্যান, সপ্তাহান্তের ছুটি দীর্ঘ হবে ২০২২-এ
বর্ষবরণের শুরুতেই অনেকে ক্যালেন্ডার খুঁজতে শুরু করেছেন। পরের বছরের ছুটির তালিকা তৈরি করতে শুরু করেছেন তাঁরা। পর পর ২টি বছর করোনার কারণে বেরোতে পারেননি কেউ। করোনা সংক্রমণ কমতেই বেরিয়ে পড়ছেন সকলে। বাড়ির কাছেই হোক বা বাড়ি থেকে দূরে একটু বেরিয়ে যেন ঘরে থাকার ক্লান্তি দূর করতে চাইছেন তাঁরা। তাই এক নজরে দেখে নিন ২০২২ সালে কতদিন ছুটি পাবেন বেড়াতে যাওয়ার জন্য।
জানুয়ারিতে ছুটি
বছরের শুরু হচ্ছে জানুয়ারি মাস দিেয়। জানুয়ারি মাসে রয়েছে লম্বা ছুটির তালিকা। মকর সংক্রান্তি যে সপ্তাহে পড়েছে সেই সপ্তাহে পর পর ছুটি পাওয়া যাবে। কারণ শুক্রবারে পড়েছে মকর সংক্রান্তি। শনি ও রবিবার পর পর তিনদিন ছুটি। কাছাকাছি একটা ছোট্ট ট্যুর হয়ে যেতেই পারে। তারপরেই আবার রয়েছে ২৬ জানুয়ারি। তবে সেটা পড়েছে বুধবার। কাজেই লম্বা ছুটি পেতে হলে মাঝের ২দিন অফিস থেকে ম্যানেজ করতে হবে ছুটি। তাহলেই টানা ৫দিন ছুটি। দার্জিলিং অনায়াসেই ঘুরে আসতে পারবেন সকলে।
ফেব্রুয়ারিতে ছুটি
জানুয়ারিতে এতটাই বেশি সপ্তাহান্তে ছুটি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে যে ফেব্রুয়ারি মাসে ছুটির অভাব পুষিয়ে দেবে। প্রতিবছরই ফেব্রুয়ারি মাসে ছুটির সংখ্যা থাকে না বললেই চলে। এবারও তাই রয়েছে। ফেব্রুয়ারি মােস কোনও ছুটি নেই। শনি রবিবার ছাড়া।
মার্চ মাসে ছুটি
মার্চ মাসকে ইয়ারএন্ডার ধরা হয়। সেকারণে মার্চ মাসে কাজের চাপ সব দফতরেই বেশি থাকে। তবে মার্চ মাসে একাধিক ছুটিও রয়েছে। ১৮ মার্চ হোলি। বাংলায় আবার তার আগেরদিন দোলের ছুটি থাকে। কাজেই পর পর ২দিন ছুটি হোলির। ১৮ মার্চ আবার পড়েছে শুক্রবার। কাজেই পর পর চারদিন ছুটি পাওয়া যাবে মার্চ মাসে। সেক্ষেত্রেও ছোট্ট একটা ট্যুর হয়ে যেতেই পারে।
এপ্রিলে ছুটি
এপ্রিল মাসে আবার পর পর চারদিন ছুটি পাওয়া যােব। পয়লা বৈশাখ, মহাবীর জয়ন্তী এবং ডাক্তার আম্বেদকরের জন্মদিন। ১৪ এপ্রিল পয়লা বৈশাখ। ১৫ এপ্রিল আবার গুডফ্রাইডে। তারপরে শনিবার রবিবার। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে ছুটি পড়ে যাচ্ছে। পর পর চারদিন ছুটি। পয়লা বৈশাখের আনন্দ জমিয়ে উপভোগ করতে পারবেন সকলে।
মে মাসে ছুটি
মে মাসের প্রথম দিনই শুরু হচ্ছে ছুটি দিেয়। ৩ মে সোমবার ইদের ছুটি। ১ মে শনিবার তারপরেই রবিবার ২ মে। পরের দিন সোমবার ইদ। পর পর তিনদিন ছুটি শুরুতেই। তারপরে আবার ১৪, ১৫ তারিখও ছুটি রয়েছে। ১৬ তারিখ আবার বুদ্ধপূর্ণিমা। সেক্ষেত্রে পর পর তিনদিন ছুটি।
জুন-জুলাইয়ে ছুটি নেই
পর পর কয়েক মাস ছুটি কাটিয়ে জুন-জুলাই মাসটা কর্মব্যস্তই কাটবে কারণ শনিরবিবার ছাড়া জুলাই মাসে কোনও ছুটি নেই। পর পর দ মাস ছুটিতে খরা রয়েছে। কাজেই এই দুই মাস মন দিয়ে কেবল অফিস করতে হবে।
অগস্টে ফের ছুটি
জুন জুলাইয়ে জমিয়ে অফিস করার পর ফের ছুটি শুরু হয়ে যাচ্ছে অগস্ট মাসে। প্রথম সপ্তাহেই রয়েছে লম্বা উইকেন্ড। ৬ এবং ৬ তারিখ শনি ও রবিবার। তাপপরেই রয়েছে ৮ অগাস্ট মহরম। সোমবার। কাজেই একেবারে শনি-রবি এবং সোমবার পর পর ছুটি। তার পরে আবার রাখী। ১১ অগাস্ট রাখি। ১২ তারিখ পড়েছে শুক্রবার। সেদিন ছুটি নিতে পারলে পর পর ৫টি লম্বা ছুটি পাওয়া যাবে। ১১, ১২, ১৩, ১৪, ১৫। কারণ ১৫ তারিখ আবার ১৫ অগাস্ট। ভাল একটা জায়গা অনায়াসে ঘুরে আসতে পারবেন সকলে। তারপরে আবার রয়েছে জন্মাষ্টমী। ১৯ অগাস্ট জন্মাষ্টমী সেটাও শুক্রবার। তারপরে ২০ তারিখ শনিবার এবং ২১ তারিখ রবিবার। ছুটি ময় অগস্ট মাস।
সেপ্টেম্বরে ছুটি
উৎসবের মরশুম শুরু হয়ে যাবে সেপ্টেম্বর মাস থেকে। যগদিও দক্ষিণ ভারতে ওনামের জন্য পর পকর চারদিন ছুটি মিললেও উত্তরভারতে কেউ ছুটি পাবেন না সেপ্টেম্বর মাসে।
অক্টোবরে ছুটি
অক্টোবর মাসে আবার দুর্গাপুজো। পর পর চারদিন দুর্গাপুজো ছুটি।এবার আমার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ১০ দিন ধরে চলবে দুর্গাপুজো। কাজেই সেপ্টেম্বর মাসের শেষ থেকেই শুরু হয়ে যাবে পুজো পুজো আমেজ। তারপরে লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজোর ছুটি। ২৪ অক্টোবর পড়েছে দীপাবলি। কাজেই সপ্তাহে পর পর টানা ছুটি রয়েছে। ২২, ২৩ এবং ২৪ অক্টোবর।
নভেম্বরে ছুটি
নভেম্বর মাসেও একের পর এক ছুটি রয়েছে। ৬ নভেম্বর গুরুনানক জয়ন্তী। মঙ্গলবার পড়েছে গুরুনানক জয়ন্তী। কাজেই মাঝের সোমবারটা ছুটি নিতে পারলে পর পর চারদিন ছুটি পাওয়া যাবে।
ডিসেম্বরে ছুটি
ডিসেম্বর মাসে অবশ্য তেমন লম্বা ইউকেন্ড নেই। ২৫ ডিসেম্বর ছাড়া তেমন ছুটি পাওয়া যাবে না। ২৫ ডিসেম্বর পড়েছে সপ্তাহের মাঝামাঝি। কাজেই তেমন ছুটি নেওয়ার সুযোগ নেই।