রাম মন্দির ভূমি পুজোয় পুরো ফোকাস মোদীর উপর! অযোধ্যায় ব্রাত্য লালকৃষ্ণ আডবাণী ও মুরলী মনোহর যোশী
কল্যাণ সিং, ঊমা ভারতীকে আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হলেও রামমন্দির ভূমিপূজা উপলক্ষে আমন্ত্রণ জানানো হল না বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী ও মরলী মনোহর যোশীকে। প্রসঙ্গত, গতমাসেই মুরলী মনোহর ও আডবাণীকে বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে। ২৪ জুলাইয়ের শুনানিতে আডবাণীকে ১০০০টি প্রশ্ন করা হয়েছিল ৪ ঘণ্টায়।
সিবিআই আদলতে আডবাণী
বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় প্রাক্তন উপ প্রধানমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীর বয়ান রেকর্ড করা হয় ২৪ জুলাই। এই মর্মে একটি নির্দেশিকা জারি করে সিবিআই-এর বিশেষ আদালত। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩১৩ নম্বর ধারা অন্তর্গত আডবাণীর বয়ান রেকর্ড করা হয়। এছাড়া ২৩ জুলাই এই একই মামলায় মুরলী মনোহর যোশীরও বয়ান রেকর্ড করা হয়।
আডবাণীকে ভর্ৎসনা সুপ্রিমকোর্টের
দীর্ঘ ১৩৪ বছরের বিতর্কের অবসান ঘটিয়েছে দেশে শীর্ষ আদালত৷ অযোধ্যায় বিতর্কিত জমি মামলার রাম মন্দির নির্মাণের পক্ষে গিয়ে৷ তবে শীর্ষ আদালত এও জানিয়েছিল যে বাবরি মসজিদ ধ্বংস অপরাধের শামিল। ১ হাজার ৪৫ পাতার রায় ঘোষণার সময় সুপ্রিম কোর্টের তরফে লালকৃষ্ণ আডবাণীর ভূমিকা কড়া ভাষায় সমালোচনা করা হয়৷ কেননা, অযোধ্যায় বিতর্কিত জমি মামলার বিতর্কের কেন্দ্রে ছিলেন বিজেপির এই বর্ষীয়ান নেতা৷
রাম মন্দির নির্মাণে ভূমিপূজায় মোদী
করোনা সংক্রমণের মাঝেই রাম মন্দির নির্মাণে ভূমিপূজার জন্য আগামী ৫ অগাস্ট অযোধ্যা সফরে যেতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিকে প্রথমে মনে করা হয়েছিল যে লালকৃষ্ণ আডবাণীকে এই অনুষ্ঠানে ব্রাত্য রাখা হতে পারে রাজনৈতিক কারণে। তবে শেষ পর্যন্ত মোদীর সঙ্গে তাঁকেও অযোধ্যায় দেখা যাবে বলে সূত্র মারফত খবর মেলে। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁকে এই অনুষ্ঠান থেকে ব্রাত্যই রাখা হল।
অযুধ্যায় আমন্ত্রিত মাত্র ২০০
অন্য সময় হলে এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে অযোধ্যায় লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত হত তা স্বাভাবিক। তবে করোনার কথা মাথায় রেখে এই বিরাট অনুষ্ঠানে কেবল ৫০ জন ভিভিআইপি ছাড়া মোট ২০০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের মধ্যে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, বিনয় কাটিয়ার, আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত, ঊমা ভারতী প্রমুখ। করোনার জেরেই শুধু মাত্র মন্দিরের সঙ্গে প্রথম থেকে জড়িত নেতাদের এই অনুষ্ঠানে ডাকা হয়েছে বলে ট্রাস্ট সূত্রে খবর।
করোনা বিধি মেনেই অনুষ্ঠান
প্রাথমিকভাবে অগাস্ট মাসের ৫ ও ৯ এই দুটি তারিখ নিয়ে আলোচনা চললেও পাঁজি দেখে অবশেষে ৫ তারিখকেই চূড়ান্ত দিন হিসেবে বেছে নেওয়া হয় এই শুভ কাজের জন্য। রাম মন্দির ট্রাস্ট জানিয়েছে, করোনা ভাইরাসের জন্য লাগু হওয়া সমস্ত বিধি পালন করে এই অনুষ্ঠান করা হবে। গোটা অযোধ্যা জুড়ে সুবিশাল জায়েন্ট স্ক্রিন লাগানো হবে যাতে দূরে থেকেও এই অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারেন আপামর ভক্ত জন।
ভূমি পূজাকে কেন্দ্র করে রাজনীতি
এদিকে ভূমি পূজাকে কেন্দ্র করে জাতীয় রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র আলোড়ন। এরই মাঝে কংগ্রেসের নয়া দাবি, সব রাজনৈতিক দলকে অযোধ্যায় আমন্ত্রণ জানানো উচিৎ। কংগ্রেস চাইছে এই রাম পুজোয় অংশ নিতে। এই নিয়ে কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সালমান খুরশিদ বলেন, 'আদালতের রায়ের পর রামমন্দির নিয়ে সমস্ত বিবাদ আমরা পিছনে ফেলে এসেছি। তবে আমাদের মনে হয়, মন্দির নির্মাতাদের ভূমি পূজায় সকল রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো উচিৎ।'