হিন্দু মঠে মুসলিম পুজারী! দিওয়ান মোল্লাকে নিয়ে নতুন পথে অশুতি গ্রাম
হিন্দু মঠে মুসলিম পুজারী! দিওয়ান মোল্লাকে নিয়ে নতুন পথে অশুতি গ্রাম
জন্ম মুসলিম পরিবারে হলেও বাবা রহিমানসাব ও মা ফতিমা ছিলেন দ্বাদশ শতাব্দীর লিঙ্গায়েত গুরু বাসবেশ্বরের ভক্ত। আর তার সূত্র ধরেই এবার লিঙ্গায়েত মন্দিরের পুজারী হিসাবে উঠে এসেছেন তাঁর ছেলে দিওয়ান শরিফ রেহমানসাব মোল্লা। সাম্প্রতিককালের ভারতে যে বিক্ষোভ-বিদ্রোহের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি বারবার উঠে আসছে, তার পাশে এমন ঘটনার প্রসঙ্গ নিঃসন্দেহে নতুন দিক। আর এমন নতুন দিকের দিশা দেখিয়েছে কর্ণাটকের গ্রাম অশুতি।
পথ দেখাচ্ছে অশুতি গ্রাম
কর্ণাটকের অশুতি গ্রামে রয়েছে লিঙ্গায়েত মঠ । এই গ্রামের মঠটিতে এলাকার মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা প্রবল। আর এলাকার মানুষ ধর্ম নির্বিশেষে যে এই লিঙ্গায়েত মতে বিশ্বাসী , তা আরও একবার প্রমাণ করে দিল দিওয়ান শরিফ মোল্লাহর মতো পরিবার। যে দিওয়ানকে ওই মঠের পুরোহিত হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছে।
মুসলিম ব্যক্তি হিন্দু মঠের পূজারি!
মুসলিম এই ব্যক্তিকে মঠের পূজারি হিসাবে নিযুক্তি নিয়ে মঠের তরফে জানানো হয়েছে, 'আদর্শই মূল। ব্যক্তি নন।' মঠের সদস্যদের মতে, ধর্ম বর্ণ , জাতি নির্বিশেষে আস্থাই বড় বিষয়। যে ধর্মেরই মানুষ হোক, লিঙ্গায়েত আদর্শে যদি বিশ্বাস করেন কেউ, তাহলে তাঁকেই কাছে টেনে নেন লিঙ্গায়তরা। আর সেই কারণের শেরিফের পরিবারকে স্বাগত জানিয়েছে এই মঠ।
মুসলিম দিওয়ানের দীক্ষা গ্রহণ
মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও দিওয়ান মোল্লাহ গত ১০ নভেম্বর , ২০১৯ সালে দীক্ষা নেন। সেই সময় থেকেই তিনি শিখতে থাকেন লিঙ্গায়েতের বিভিন্ন নিয়ম কানুন। দিওয়ানের দাবি , লিঙ্গায়েতের বিখ্যাত কোরানেশ্বর মঠের যে পাঠ ও নিয়ম তাঁকে শেখানো হচ্ছে, তাই তিনি পরবর্তী প্রজন্মেও ছড়িয়ে দেহেন। কারণ, এই আদর্শে অনুরক্ত তাঁর পরিবার, তাঁর অভিভাবকরা।
গ্রামের মানুষের পূর্ণ সমর্থন
দিওয়ান শেরিফের ধর্ম নিয়ে গ্রামের মানুষের কোনও সমস্যা নেই। আর তাঁরা দিওয়ানের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন। এদিকে, দিওয়ানের দাবি ঈশ্বরের পথে ভালোবাসাকে খুঁজে নেওয়া ও সেবা করাই তাঁরা কাছে পরম বিষয়। এর বাইরে তিনি কোনও বিভেদ দেখতে চাননা।
জিহাদি সাহায্যে ভারত ছাড়ছেন রোহিঙ্গা শরণার্থীরা, প্রতিবেশী দেশে গন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন গোয়েন্দাদের