লকডাউন অমান্য করলে কড়া সাজা! করোনা রুখতে কড়া পদক্ষেপের পথে কেন্দ্র
দিল্ল, কলকাতা, মুম্বই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু সহ মোট ৮২টি শহরে লকডাউন কার্যকর করা গবে আজ থেকে। চলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। এই সময় রেল পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হবে। বন্ধ থাকবে মেট্রো পরিষেবাও। এরই মধ্যে রাজ্যগুলিকে কড়া হাতে লকডাউন কার্যকর করতে নির্দেশিক জারি করল কেন্দ্র। লকডাউন না মানলে হতে পারে ৬ মাসের জেলও!
দেশে ৪১৫ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের চিহ্ন
ইতিমধ্যেই দেশে ৪১৫ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের চিহ্ন মিলেছে। দেশে এই সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে ৯ জন। এই পরিস্থিতিতে এই সংক্রমণ ঠেকাতে কড়া হাতে ময়দানে নামল কেন্দ্র। রাজ্যগুলিকে লকডাউন অমান্য করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার কথা বলা হয়েছে।
সংক্রমণ ছড়ানো ঠেকাতে লাগু হয়েছে মহামারী আইন
ইতিমধ্যেই দেশে সংক্রমণ ছড়ানো ঠেকাতে লাগু হয়েছে মহামারী আইন। সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে ১৮৯৭ সালের মহামারী সম্পর্কিত আইনের ২ নম্বর ধারা প্রয়োগ করা হবে যাতে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশাবলী কার্যকর করা যায়।
আসলে কী এই ব্রিটিশ আমলের আইন?
উল্লেখ্য, ১৮৯০-এ পূর্বতন বম্বে প্রেসিডেন্সিতে বিউবোনিক প্লেগের মহামারী আটকাতে এই আইন প্রবর্তন করেছিল তৎকালীন ঔপনিবেশিক সরকার। এই আইনের দ্বিতীয় ধারায় রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে রোগ ছড়িয়ে পড়া আটকাতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ ও বিধি তৈরির অধিকার দেওয়া হয়েছে।
লকডাউন নিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে আবেদন মোদীর
এরই মধ্যে বর্তমান পরিস্থিতিতে লকডাউন নিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে আবেদন রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে যে লকডাউন জারি করা হয়েছে তার গুরুত্ব বুঝছে না দেশের অনেকেই। এরকমই আক্ষেপ প্রকাশ করে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নিজের উদ্বেগ ব্যক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি এদিন এই বিষয়ে এক টুইট বার্তায় লেখেন, 'করোনা ভাইরাসের বিধিনিষেধের মধ্যেও এখনও অনেকে এই পরিস্থিতিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছেন না।'
লকডাউন নিয়ে অসন্তুষ্ট মোদী
দেশে ক্রমশই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত ভারতে কোভিড-১৯ নামক এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত কমপক্ষে ৪১৫ জন। এই পরিস্থিতিতে দেশের সমস্ত নাগরিককে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সতর্কতা বজায় রাখার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।