ফলাহারি বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ঘটনার রাতে কী হয়েছিল জানালেন আইনের ছাত্রী
ফলাহারি বাবার বিরুদ্ধে মুখ খুললেন ছত্তিসগড়ের বিলাসপুরের আইনের ছাত্রী, ধর্ষিতা তরুণী ঘটনার রাতের ঘটনা সামনে এনেছেন, মুখ খুলেছেন ফলাহারি বাবার বিরুদ্ধে
ধর্ষণের অভিযোগে ইতিমধ্যেই পুলিশ হেফাজতে রাজস্থানের 'ফলাহারি বাবা'। এদিকে ধর্ষণের রাতে ঘটনা সামনে এনেছেন আইনের ওই ছাত্রী। ধর্ষণের পর কাউকে কিছু না বলতে হুমকি দিয়েছিলেন কৌশ্লেন্দ্র প্রপন্নাচার্য।
রাজস্থানের আলোয়ারের বছর ৭০-এর ফলাহারি বাবা যথেষ্ট প্রভাবশালী। অনেক সরকারি পদাধিকারি তথা আইএএস, আইপিএস কিংবা মন্ত্রীরা তাঁর সাক্ষাৎপ্রার্থী। তাঁর শিষ্য-শিষ্যাওো বটে। অন্য কোনও শিষ্য-শিষ্যা অসুবিধায় পড়লে এঁদের মাধ্যমেই প্রভাব খাটিয়ে সমস্যার সমাধান করতেন এই ফলাহারি বাবা।
এরকমই একজন ছিলে ছত্তিসগড়ের বিলাসপুরের আইনের ছাত্রী। তাঁর বাবা-মা আগে থেকেই ফলাহারি বাবা-র শিষ্য-শিষ্যা। আইন পাশের পর ওই ছাত্রী দ্বারস্থ হন ফলাহারি বাবার। ওই বাবার সুপারিশেই সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীর কাছে ইনটার্নশিপের সুযোগ পেয়েছিলেন। সেইক্ষেত্রে মাসে ৩ হাজার টাকা করে স্টাইপেন্ডও মিলছিল। ওই টাকাই দান করতে রাজস্থানের আলোয়ারে বাবার আশ্রমে গিয়েছিলেন ওই মহিলা।
৭ অগাস্ট প্রথমে অপেক্ষা করতে বলেও, বাবার ঘরে ডেকে নেওয়া হয় ওই মহিলাকে। অভিযোগ, ফলাহারি বাবা জিভের ওপর ওম লিখে তা চেটে নিতে বলে ওই তরুণীকে। তা করতে গিয়েই জড়িয়ে ধরেন বাবা। এই ভাবেই তিনি জ্ঞান বিতরণ করেন বলে জানিয়েছিলেন বাবা। এর পর তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ফলাহারি বাবা সেই সময় জানান, এনেক আইএএস, আইপিএস, বিচারপতি তিনি তৈরি করেছেন। ওই তরুণী চাইলে তাঁকেও বিচারপতি বানিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এর বদলে তরুণী কী দিতে পারবেন তা, জানতা চান বাবা। তরুণী চাইলে তাঁকে সন্তান উপহার দিতে পারেন বলে জানান ওই বাবা। এই সময়ই বাবার ঘরের দরজায় করা আওয়াজে বেসামাল হয়ে পড়েন বাবা। কোনও ক্রমে নিজেকে সামলে তরুণীকে হুমকি দেন, যাতে তিনি কাউকে কিছু না জানান।
এরপরেই বাড়িতে ফিরে পরিবারের কাছে সব ঘটনা জানানোর পর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের আঁচ করে, অসুস্থতার অভিনয় করে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যান ফলাহারি বাবাকে। পুলিশ পরে সেখান থেকেই ফলাহারি বাবাকে গ্রেফতার করে।