মদন-কুণালকে ছেড়ে কেন পুলিশের জন্য ধরনায় মমতা! খোলা আক্রমণে বিজেপি
তৃণমূলকে আক্রমণ বিজেপির আর এক নেতা তথা কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের।
আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। কেন পুলিশ কমিশনারকে বাঁচাতে রাস্তায় বসে ধরনা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে নাকি নিজেকে বাঁচাতে চাইছেন মমতা? এই আক্রমণকেই সপ্তমে তুললেন বিজেপির আর এক নেতা তথা কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।
এদিন বিজেপির সাংবাদিক সম্মেলনে সিবিআই কেন রাজীব কুমারের বাড়িতে হানা দিয়েছিল তার বিবরণ দিয়েছেন তিনি। তিন বছর ধরে তথ্যপ্রমাণ দিয়ে সাহায্য করার কথা বলে সমন পাঠানো হলেও রাজীব কুমার তাতে সাড়া না দিয়ে সিবিআইকে অপেক্ষায় রেখেছিলেন। সিবিআই এতদিন অপেক্ষা করেছে। এদিকে সারদা তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানতে চাওয়ার পরই রাজীব কুমারের নাগাল পেতে কলকাতা যায় সিবিআই।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তদন্তে কাঁটা বিছিয়ে দিতে ধরনা দিয়েছেন বলে অভিযোগ রবিশঙ্কর প্রসাদের। তিনি বলেন, পুলিশ অফিসাররা রাজনৈতিক ধরনায় বসছেন! এটার মানে কি! ধরনায় বসে কেজরিওয়ালের পথ অনুসরণ করছেন মমতা। তোপ রবিশঙ্করের।
Union Minister Ravi Shankar Prasad: What is happening? A Police Commissioner is sitting on a dharna with politicians? What is the meaning of this? By sitting on dharna West Bengal CM is following the footsteps of Arvind Kejriwal pic.twitter.com/QOwmBbqqbh
— ANI (@ANI) February 4, 2019
একইসঙ্গে তিনি বলেন, তৃণমূলের বড় নেতা-মন্ত্রীরা চিটফান্ড মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন। মদন মিত্র, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষ, তাপস পালরা গ্রেফতার হওয়ার পর মমতা এভাবে রাস্তায় নামেননি, যা করেছেন পুলিশ কমিশনারের কাছে সিবিআই পৌঁছে যাওয়ায়। ফলে এক পিছনে কোনও বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে যা মমতা আড়াল করার চেষ্টা করছেন বলে রবিশঙ্কর প্রসাদ বিজেপির তরফে অভিযোগ করেছেন।
Union Minister Ravi Shankar Prasad: In 2014 Congress tweeted Rahul Gandhi's statement that 20 lakh ppl lost their money in chit fund scam in West Bengal. We took oath on May 26,2014 so all these inquiries in Narada, Saradha scams started before us pic.twitter.com/xZYA2o68NF
— ANI (@ANI) February 4, 2019
বিজেপি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করছে বলে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, ২০১৪ সালে আমরা ক্ষমতায় আসি। তার আগে রাহুল গান্ধী চিটফান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ২০ লক্ষ মানুষের পাশে দাঁড়ান। আমরা আসার আগে থেকেই সারদা মামলার তদন্ত চলছিল। ফলে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কোনও অবকাশ নেই।