বাজপেয়ীর প্রয়াণে বড় একা লাগে আদবানীর! ৬৫ বছরের মিত্রতার স্মৃতিই শুধু পাথেয়
৬৫ বছরের দোস্তির অবসানে বড্ড একা হয়ে পড়লেন লালকৃষ্ণ আদবানী। বন্ধুবর অটলবিহারী বাজপেয়ী নেই, শোকস্তব্ধ লালকৃষ্ণ আদবানী চাননি এই দোস্তি ভেঙে দিতে। তাই সবথেকে কাছের বন্ধুর স্মরণসভায় যোগ দিয়ে গলা বুজে গেল তাঁর। বললেন, আমি স্বপ্নেও ভাবিনি অটলের স্মরণসভায় উপস্থিত থাকতে হবে আমাকে। এটা যে আমার কাছে কতটা কষ্টের তা বোঝাতে পারব না।

সোমবার নয়া দিল্লিতে বাজপেয়ীর স্মরণসভায় আদবানী বলেন, আমি সৌভাগ্যশালী যে আমার সঙ্গে বাজপেয়ীর ৬৫ বছরের মিত্রতা। তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক আমাকে সমৃদ্ধ করেছে। তাঁর কাছে অনেক কিছু শিখেছি। আনেক কিছু জেনেছি। তাঁর কাছ থেকে পেয়েওছি অনেক কিছু। কিন্তু আমার জীবনে একটা দুঃখ রয়েই গেল।
সেই দুঃখ হল- আমার বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে আসেননি অটলবিহারী। তা আজও আমাকে কুরে কুরে খায়। আমার সবথেকে কাছের বন্ধুই আমার অনুষ্ঠানে আসতে পারেনি। অটলের না আসার কষ্ট ভোলার নয়। যতদিন বেঁচে থাকব এই কষ্ট আমাকে বয়ে নিয়ে বেড়াতে হবে।
এ প্রসঙ্গে আদবানী বলেন, যতদিন বাঁচব অটলজির দেখানো পথেই চলব। প্রত্যেকেরই তাঁর দেখানো পথে চলা উচিত। অটলজির জীবনদর্শন মেনে চলা উচিত। স্মৃতিচারণায় আদবানী বলেন, বাজপেয়ী খেতে যেমন ভালোবাসতেন, খাওয়াতেও ভালোবাসতেন। তাঁর সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক ছিল, এতদিনের বন্ধুত্ব, তারপর তাঁর সহকারী হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। এমন কাছের মানুষকে হারিয়ে আজ ভাষাও হারিয়ে ফেলেছি।