সীমান্তে দাঁড়িয়েও দিল্লি বহু দূর, কেন্দ্রের সহানুভূতির অভাব হারে হারে টের পাচ্ছেন কৃষকরা
প্রধানমন্ত্রী গত মাসে তাঁর মন কি বাত-এ কৃষক আন্দোলন নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থান জানিয়েছিলেন। তখন সবে শুরু হয়েছিল কৃষকদের 'দিল্লি চলো'। কিন্তু, তখন থেকেই আইনগুলির সমর্থনে নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন তিনি। তার পর থেকে সরকার কৃষকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছে।
কেন্দ্র সংশোধনের পথে হাঁটতে রাজি হয়েছিল
এমনকী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও কথা বলেছিলেন আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে। কেন্দ্র সংশোধনের পথে হাঁটতে রাজিও হয়েছিল। কিন্তু, কৃষকরাও তাঁদের দাবিতে অনড়। আইনগুলি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করতে হবে। ফলে, দফায় দফায় বৈঠকের পরেও এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধানের ইঙ্গিত মেলেনি।
বিরোধীদের বিরুদ্ধে বিজেপির অভিযোগ
এই পরিস্থিতিতে বিজেপি গত সপ্তাহেই অভিযোগ করেছিল, কংগ্রেস নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করতে সরকারের বিরোধিতা করছে। দাবি করা হয়েছিল, ইউপিএ শাসনকালে কংগ্রেস ও শরদ পাওয়ারের ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি কৃষি আইনের মূল বিষয়গুলির সমর্থনে কথা বলেছিল।
'কৃষকদের ভুল বোঝআনো হচ্ছে'
বিরোধীরা যে কৃষকদের ভুল পথে চালিত করছে এমন অভিযোগও তুলেছিল গেরুয়া শিবির। শুধু তাই নয়, বিজেপির বিভিন্ন স্তর থেকে অভিযোগ এসেছে যে এই কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে খালিস্তানি পন্থী জঙ্গিরা। আইএসআই এবং চিনের ইন্ধনে এই আন্দোলন বৃহৎ আকার ধারণ করছে বলেও অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। তবে কৃষকদের দাবি নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাচ্ছে।
কেন্দ্র-কৃষক তরজা
এই পরিস্থিতিতে প্রতিবাদে সামিল হওয়া মোট ২০ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। তবে কেন্দ্রের তরফে সুর নরম করার কোনও ইঙ্গিত এখনও মেলেনি। বরং কেন্দ্র এখন প্রতিবাদীদের ছেড়ে কৃষি আইনের সমর্থনকারীদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে পাল্টা চাপ বাড়াতে চাইছে। যা পরিস্থিতি, তাতে কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের সঙ্গে চাপ সৃষ্টি এবং রাজনীতির খেলায় মেতেছে।
কেন্দ্রকে টলাতে পারছে না আন্দোলনকারীরা
ভারত বনধ, অনসন কর্মসূচি, রাজনৈতিক দলগুলির সমর্থন পেয়েও কেন্দ্রকে টলাতে পারছে না আন্দোলনকারীরা। তবে তারা নিজেরাও জেদ ধরে রেখেছেন। কৃষকদের স্পষ্ট বক্তব্য, আলোচনায় বসতে তাঁরা রাজি। তবে সেই মর্মে বেশ কয়েকটি দাবি রেখেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, কেন্দ্রের তরফে দেওয়া আগের যে প্রস্তাবগুলি কৃষকরা খারিজ করেছে, তা নিয়ে আোচনা করা যাবে না। তাছাড়া আলোচনা হতে হবে কৃষি আইন প্রত্যাহারের লক্ষ্যকে সামনে রেখেই। তবে এখনও এই মর্মে কোনও জবাব দেয়নি কেন্দ্রে।