আজ দিল্লিতে রাহুল সোনিয়ার সঙ্গে বৈঠকে কুমারস্বামী, কারা কারা হবেন মন্ত্রী, জেনে নিন
কর্ণাটকের মন্ত্রীসভা চুড়ান্ত করতে আজ রাহুল ও সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করতে আজ দিল্লি আসছেন এইচ ডি কুমারস্বামী।
কর্ণাটকে সরকার গঠন পালার প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে। জোট গড়ে, আদালতের দ্বারস্থ হয়ে, বিজেপিকে সরকার গড়া থেকে সফলভাবে আটকেছে কংগ্রেস-জেটি(এস) জোট। এবার শুরু দ্বিতীয়, তথা কঠিনতর পর্বের। মন্ত্রীসভা গঠন করতে হবে তাদের। তা চুড়ান্ত করতে রাহুল ও সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করতে আজই দিল্লি আসছএন এইচডি কুমারস্বামী। ৩৩ জনের মন্ত্রীসভায় কংগ্রেস ২০টি পদ পেতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে কর্ণাটকে যেরকম দ্রুত পট পাল্টে যাচ্ছে, তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে, বিধায়কদের ধরে রাখতে তাঁদের বেঙ্গালুরু বিমান বন্দরের কাছে হিলটন হোটেলে 'নিরাপদে' রেখেছে কংগ্রেস-জেডি (এস)।
কংগ্রেস মন্ত্রীসভায় ২০টি পদ পেলেও, শতাংশের হিসেবে তাদের প্রতিনিধিত্ব তাও যথেষ্ট কমই থাকবে। তাঁদের ৭৮ জন বিধায়কের ২০ জন মন্ত্রী হলে শতাংশের হিসেবে তা দাঁড়ায় ২৬ শতাংশ। যেখানে ৩৭ বিধায়কের (কুমারস্বামী তাঁর রামনগরের জেতা আসনটি ছেড়ে দিয়েছেন) ১৩ জন মন্ত্রী হলে তাদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে ৩৫ শতাংশ। শুধু তাই নয়, অর্থ, পিডব্লুডি, সেচের মতো, গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলিও সম্ভবত তারা হাতছাড়া করবে না।
তবে আপাতত বুধবার এইচ ডি কুমারস্বামী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন, এছাড়া কোনওকিছুই চুড়ান্ত হয়নি। কর্ণাটক কংগ্রেসের জেনারেল সেক্রেটারি কে সি বেনুগোপাল জানিয়েছেন, 'বুধবার শুধু কুমারস্বামী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন, আর বৃহস্পতিবার বিধানসভায় দেবেন শক্তির পরীক্ষা। ওই দিনই স্পিকারও নির্বাচন করা হবে। '
সূত্রের খবর কংগ্রেস উপমুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য তাঁদের দলিত বিধায়ক জি পরমেশ্বরের নাম ঠিক করেছিল। কিন্তু লিঙ্গায়েত সম্প্রদায় দাবি করেছে, উপমুখ্যমন্ত্রী তাঁদের সম্প্রদায়ের কাউকে করা হোক। ভোটের আগে এই সম্প্রদায়কে আগের সিদ্দারামাইয়া সরকার সংখ্যালঘু তকমা দিতে চেয়েছিল। নির্বাচনে দেখা গিয়েছে এতে কংগ্রেসের মুখই পুড়েছে, লাভের লাভ কিছু হয়নি। লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের মধ্যে যে করেই হোক ফের জায়গা করে নিতে চাইছে কংগ্রেস। তাই, তারা এই দাবি তোলায় নতুন করে পদটি নিয়ে ভাবতে হচ্ছে কংগ্রেসকে।
তবে জোট সরকারকে সফল করতে দুদলই অনেকদূর পর্যন্ত স্বার্থ ছাড়তে আগ্রহী বলেই জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর কংগ্রেস, জেডি (এস)-কে নিঃস্বার্থ সমর্থন দেওয়ার কথা বলেছে। তাই পদ নিয়ে কোনও দরাদরির পথে তারা যাবে না। পাশাপাশি, শোনা যাচ্ছে এক বৈঠকে নাকি কুমারস্বামী, তাঁর দলের জয়ী বিধায়কদের বুঝিয়েছেন দলের ইস্তিত্ব রক্ষায় ক্ষমতায় থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই, তিনি বা তাঁর বাবা এইচ ডি দেবগোড়া যে সিদ্ধান্ত নেবেন, দলের স্বার্থে বিধায়কদের তা মেনে নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
জোট গড়ার সিদ্ধান্ত হওয়ার পর পর শোনা গেছিল, ৩০ মাস করে করে মুখ্যমন্ত্রীত্ব করবে দুদলই, এমনটাই নাকি রফা হয়েছে। কিন্তু কুমারস্বামী সেই তথ্য উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, 'মন্ত্রীসভা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। সোমবার দিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ও ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে কথা বলেই সবকিছু চুড়ান্ত করবো।' তবে পাঁচবছর জোট সরকারকে ধরে রাখার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী তিনি। কারণ তাঁকে সেরকম ভরসা দিয়েছে কংগ্রেস।