'কর্মের ফল', আস্থা ভোটে জিতে একবছর আগের জ্বালা জুড়োল বিজেপির, নতুন সূর্যোদয়ের ডাক ইয়েদুরাপ্পার
বেশ কয়েকদিনের চূড়ান্ত নাটকের পর অবশেষে যবনিকা পতন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে না পেরে কর্ণাটকে পতন হল কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারের।
বেশ কয়েকদিনের চূড়ান্ত নাটকের পর অবশেষে যবনিকা পতন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে না পেরে কর্ণাটকে পতন হল কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারের। এদিন এইচডি কুমারস্বামীর সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারেনি। যার ফলে কর্ণাটকে তাঁর সরকার পড়ে গিয়েছে।
গত সপ্তাহ থেকেই কর্ণাটকে চূড়ান্ত তুলকালাম চলছে। সব মিলিয়ে কংগ্রেস-জেডিএস জোটের অনেক বিধায়ক বেঁকে বসেছিলেন। এছাড়া কয়েকজন নির্দল বিধায়কও ছিলেন। কুমারস্বামী সরকারের উপর তাঁদের আস্থা নেই বলে তাঁরা পিছু হটেন। যার ফলে বিজেপি দাবি করে সরকারের ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই। এবং অবিলম্বে আস্থা ভোট করতে হবে।
BS Yeddyurappa & other Karnataka BJP MLAs show victory sign in the Assembly, after HD Kumaraswamy led Congress-JD(S) coalition government loses trust vote. pic.twitter.com/hmkGHL151z
— ANI (@ANI) July 23, 2019
মাঝে বেশ কয়েকদিন ধরে বিদ্রোহী বিধায়কদের বুঝিয়ে দলে ফেরানোর চেষ্টা করেছিল কংগ্রেস-জেডিএস জোটের নেতারা। তবে সব চেষ্টা বিফলে যায়। এর মধ্যে আবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা-মোকদ্দমাও হয়েছে। এত হাঙ্গামা করেও শেষ অবধি সরকার টিকিয়ে রাখতে পারল না।
Game Of Karma
— BJP Karnataka (@BJP4Karnataka) July 23, 2019
এদিন ফের একবার আস্থা ভোটের প্রসঙ্গ উঠলে তার সময় গড়াতে গড়াতে সন্ধ্যে সাতটা চল্লিশ নাগাদ সম্পন্ন হয়। তার আগে সারাদিন ধরে দীর্ঘ আলোচনা চালান কংগ্রেস-জেডিএস জোটের বিধায়কেরা। এবং প্রত্যেকেই বেছে বেছে নিশানা করেন বিজেপিকে। তবে এসবের পরও শেষ অবধি অধ্যক্ষ কেআর রমেশ বাধ্য ছিলেন আস্থা ভোট কার্যকর করার ক্ষেত্রে।
BS Yeddyurappa, BJP: It is victory of democracy. People were fed up with Kumaraswamy government. I want to assure people of Karnataka that a new era of development will start now. pic.twitter.com/JmVrtTa9SK
— ANI (@ANI) July 23, 2019
বিজেপিও গত কয়েকদিন ধরেই দাবি করে আসছিল আস্থা ভোট না হলে কোনভাবেই তারা বিধানসভার ত্যাগ করবে না। এই অবস্থায় শেষ অবধি আস্থা ভোট হলে হেরে গিয়েছে কুমারস্বামীর জোট। তাঁরা পেয়েছেন পক্ষে ৯৯ টি ভোট। এদিকে বিজেপি পেয়েছে ১০৫ টি ভোট। যার ফলে কংগ্রেস জেডিএস জোট সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কর্ণাটকে পড়ে গেল।
বিধানসভার মধ্যে বিরোধী দলনেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পাকে এরপরই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায়। তিনি সহকর্মীদের অভিনন্দন জানান। এদিকে কর্ণাটক বিজেপির টুইটার হ্যান্ডেলে আস্থা ভোটের পরই একটি টুইট করা হয়। তাতে বলা হয়েছে 'কর্মের খেলা'।
অর্থাৎ যেভাবে গত বছরে বিধানসভা ভোটের পর সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে থাকা সত্ত্বেও বিজেপিকে জোট বেঁধে আটকে দিয়েছিল কংগ্রেস-জেডিএস এর জোট। এদিন সেই কর্মের ফলই ফেরত পেলেন কুমারস্বামী। গত বছরে নির্বাচনে কোনও দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তবে বিজেপি সবচেয়ে বড় দল হিসেবে উঠে এসেছিল। এদিকে কংগ্রেস-জেডিএস আলাদা লড়াই করলেও ক্ষমতায় আসতে জোট বেঁধে সরকার গঠন করে।
সবচেয়ে কম আসন থাকা জেডিএস-এর এইচডি কুমারস্বামী মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেন। যা নিয়ে সরকার গঠনের পর থেকেই সরব ছিল বিজেপি। তাঁদের দাবি ছিল, অনৈতিকভাবে বিজেপিকে আটকাতে এই জোট করা হয়েছে। এদিন আস্থা ভোটের পর বিজেপি ছোট্ট একটি টুইটের মাধ্যমে ফের একবার সেই কথাটাই তুলে ধরার চেষ্টা করল।