আত্মপরিচয় দিতে স্কুলে 'ডেথ সার্টিফিকেট' জমা দিতে হল জীবিত ছাত্রীকে, নেপথ্যে রয়েছে কোন কাহিনি
স্কুলে, 'বার্থ সার্টিফিকেটের' জায়গায় 'ডেথ সার্টিফিকেট' জমা দিতে হয় শ্বেতাকে। অর্থাৎ জমা দেওয়া সংসাপত্র অনুযায়ী শ্বেতা মৃত!
কেরলের কাসারগোডের নবম শ্রেনির ছাত্রী শ্বেতা পুজারী। ১৪ বছরের শ্বেতাকে স্কুলে তাঁর জন্ম তারিখ ও বছর সংক্রান্ত নথি বা বার্থ সার্টিফিকেট জমা দিতে বলা হয়। এই নথির সঙ্গে শ্বেতার সেকেন্ডারি স্কুল লিভিং সার্টিফিকেটের তথ্য মিলছে কি না তা যাচাই করছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ । আর তা করতেই গিয়েই চক্ষু চরক গাছ হয়ে যায় স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের। দেখা যায়, 'বার্থ সার্টিফিকেটের' জায়গায় 'ডেথ সার্টিফিকেট' জমা দিয়েছে শ্বেতা। অর্থাৎ জমা দেওয়া সংসাপত্র অনুযায়ী শ্বেতা মৃত!
শ্বেতার জমা দেওয়া এরকম আশ্চর্য নথি দেখে প্রথমে নিজেদের 'চোখ'-কেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না স্কুলের শিক্ষা কর্মীরা। জীবিত মানুষের ডেথ সার্টিফিকেট কীভাবে আসতে পারে, তা নিয়ে ধন্দে পড়ে যান তাঁরা! দেখানে, সার্টিফিকেটে লেখা রয়েছে , ১৪ বছর আগেই মারা গিয়েছে শ্বেতা। যদিও জন্মদিনের নিরিখে শ্বেতার বর্তমান বয়স ১৪ বছর।
রহস্যের কিনারা করতে গিয়ে উঠে আসে চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা। ২০০২ সালের অক্টোবরে যেদিন শ্বেতা জন্মায় সেদিন তার বার্থ সার্টিফিকেট করাতে স্থানীয় পঞ্চায়েতে যান শ্বেতার বাবা রমন্না পুজারি। তখন কেরলের বেল্লুর গ্রাম পঞ্চায়েত যে সার্টিফিকেট দেয়, তা খুলেও দেখেননি রমন্না। বাড়ি ফিরে, তা গুছিয়ে রেখে দেন তিনি। এতদিন বাদে জানা যায়, সে সময় বেল্লুর গ্রামপঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ 'ভুল' বশত বার্থ সার্টিফিকেট কে ডেথ সার্টিফিকেট হিসাবে লিখে ফেলে। আর সারর্টিফিকেট অনুযায়ী জন্মদিনই শ্বেতার মৃত্যুদিন হিসাবে দেখানো হয়।