নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা বাম শিবিরে, বিদেশি মুদ্রা পাচারে সরাসরি জড়িত মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন!
কেরলের সোনা পাচার কাণ্ডে এবারে সরাসরি নাম জড়িয়ে পড়ল মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের। এই পাচার কাণ্ডের তদন্তের দায়িত্বে থাকা শুল্ক দফতরের কমিশনার সুমিত কুমার আদালতে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, 'মূল অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশ জানিয়েছেন যে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের 'উদাহরণ'-এই বিদেশি মুদ্রা পাচার হয়েছে রাজ্যে।' সুমিত বলেন, 'সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রাক্তন কনসাল জেনারেলের সঙ্গে সরাসরি যোগ ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। এই কনসাল ডেনারেল বেআইনি ভাবে বিদেশি মুদ্রা পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।'
প্রথমে কীভাবে নাম জড়িয়েছিল বিজয়নের?
এর আগে এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নের নাম জড়িয়েছিল যখন তাঁর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি শিবশংকরের নাম জড়ায় এই ঘটনায়। শিবশংকরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি থাকাকালীন নিজের ক্ষমতার অপব্য়বহার করে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থেকে সোনা পাচারে সাহায্য় করেছিলেন তিনি৷ ২০১৯ সালের ৫ জুলাই সোনা পাচারের অভিযোগে ভারতে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর কনসুলেটে কর্মরত পি এস সারিথকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ। সেই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশকেও গ্রেপ্তার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।
হাওয়ালায় টাকা পাচারের অভিযোগ
অভিযোগ ছিল, পিএস সারিথ কনসুলেটের ব্য়াগে করে সোনা নিয়ে ভারতে ঢুকেছিল৷ সেই ঘটনার তদন্তে নেমে ইডি ও শুল্ক বিভাগ কেরলের মুখ্য়মন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির নাম জানতে পারে৷ তবে, সে সময় এনআইএ-র তরফে আদালতে বলা হয়েছিল, এম শিবশংকরের বিরুদ্ধে এখনই কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার দরকার নেই৷ তবে, ইডির তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধে হাওয়ালায় টাকা পাচারের অভিযোগ আসে৷ এরপরেই তাঁকে গ্রেফতারের জন্য় তৎপরতা শুরু করে ইডি৷
প্রভাব খাটানোর আশঙ্কা করা হয়
সেই সময় নিজের গ্রেফতারি এড়াতে কেরল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এম শিবশংকর৷ সেই মামলায় ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না বলে জানিয়েছিল কেরল হাইকোর্ট৷ তবে, ইডি ও শুল্ক দফতরের তরফে শিবশংকরের জামিনের বিরোধিতা করা হয়৷ বলা হয়, শিবশংকরকে জামিন দিলে তিনি, ক্ষমতার অপব্য়বহার করে সোনা পাচারের ঘটনায় তথ্য় প্রমাণ লোপাট করতে পারেন৷ এরপরেই আদালতের তরফে এম শিবশংকরের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়৷
ঘটনায় রাজনৈতিক টানাপোড়েন
সোনা পাচারের ঘটনায় কেরলের মুখ্য়মন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি যুক্ত থাকার ঘটনায় রাজনৈতিক টানাপোড়েনও শুরু হয়৷ বিতর্ক এড়াতে পিনারাই বিজয়নের সরকার এম শিবশংকরকে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির পদ থেকে সরিয়ে দেয়। এরপর কেরলের আইটি সেক্রেটারি পদ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়।