গ্রেফতারির পর থেকে একেরপর এক পাঁচতারা আবদার করে চলেছেন কার্তি
কার্তিকে বুধবার গ্রেফতার করে সিবিআই। চেন্নাই থেকে গ্রেফতারির পরে তাঁকে দিল্লি আনা ইস্তক একেরপর এক পাঁচ তারা দাবি করে চলেছেন কার্তি।
কেন্দ্রীয় তদন্তের হাত থেকে বাঁচতে ও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের ছাড়পত্র পাইয়ে গিতে বেআইনিভাবে আইএনএক্স মিডিয়ার থেকে টাকা ঘুষ হিসাবে নিয়েছিলেন কার্তি চিদাম্বরম। ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন পি চিদাম্বরম অর্থমন্ত্রকের দায়িত্বে থাকাকালীন বাবার ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে এই টাকা পেয়েছিলেন কার্তি। এই অভিযোগ সহ নানা অভিযোগে কার্তিকে বুধবার গ্রেফতার করে সিবিআই। চেন্নাই থেকে গ্রেফতারির পরে তাঁকে দিল্লি আনা ইস্তক একেরপর এক পাঁচ তারা দাবি করে চলেছেন কার্তি।
কার্তির হুমকি
কার্তি চিদাম্বরম প্রথমে নাকি প্রথম শ্রেণির বন্দির সুবিধা চান। আদালত কার্তিকে পাঁচদিনের সিবিআই হেফাজত দেওয়ার পরে সিবিআই অফিসারদের তিনি দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ। কার্তি নাকি বলেছেন, ক্ষমতায় এলেই আমি আপনাদের দেখে নেব।
পছন্দের খাবার
সিবিআই হেফাজতেও কার্তি নিজের পছন্দের খাবার খেতে চেয়েছেন। আদালতে আর্জিও করেন নিজের পছন্দের খাবার তিনি খেতে পারবেন কিনা। কার্তি বাড়ির খাবার খেতে চেয়েছিলেন। বিচারপতি সেক্ষেত্রে কটাক্ষ করে বলেন, সুইগি বা জোম্যাটো থেকে অর্ডার করে নেবেন।
প্রথম শ্রেণির টিকিট
চেন্নাই বিমানবন্দরে ধরা পড়ার পর দিল্লি উড়িয় নিয়ে আসার আগে কার্তি একাধিক দাবি করেছেন। বিমান প্রথম শ্রেণির টিকিটের দাবি করেন তিনি। সিবিআই রাজি না হওয়ায় নিজে জেট এয়ারওয়েজের নিয়মিত যাত্রী হিসাবে আলাদা সুবিধা দাবি করেন কার্তি। যদিও তাতেও কর্ণপাত না করে তাকে ইকোনমি ক্লাসে দিল্লি নিয়ে আসা হয়।
আদালতের নির্দেশ
আদালত কার্তিতে ৬ মার্চ পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি বাড়ির খাবার নিষেধ করেছেন। শুধুমাত্র ওষুধ দেওয়া যাবে বাইরে থেকে। পাশাপাশি কার্তির আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি প্রতিদিন সকাল ও বিকেল ১ ঘণ্টা করে দেখা করতে পারবেন।