আঠারোর আগে বিয়ে বাতিল নয়! কী বলছে হাইকোর্টের 'ব্যতিক্রমী' সিদ্ধান্ত
হিন্দু বিবাহ আইনে পাত্রের বয়স ২১ আর পাত্রীর বয়স ১৮ না হলে , তা বাতিল যোগ্য। তবে হাইকোর্টের রায়ে এর ব্যতিক্রমও রয়েছে।
কোনও মহিলার বয়স ১৮ বছর হওয়ার আগে তার বিয়ে বাতিল করা যাবে না। এমনটাই রায় দিয়েছে কর্নাটক হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এব্যাপারে পারিবারিক আদালতের আগেকার রায়ও বাতিল করে দিয়েছে হাইকোর্ট। বিষয়টি নিয়ে প্রধান বিচারপতি পিবি ভারালে এবং বিচারপতি এস বিশ্বজিত শেঠির বেঞ্চে শুনানি হয়। সে সময় মহিলার আবেদন খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেন বিচারপতিরা।
কী বলছে হিন্দু বিবাহ আইন
হিন্দু বিবাহ আইনের ৫(৩) ধারা অনুযায়ী বিয়ের জন্য পাত্রের ন্যূনতম বয়স ২১ বছর এবং পাত্রীর ক্ষেত্রে ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর হতেই হবে।
এক্ষেত্রে বিবাহ বাতিল প্রযোজ্য নয়
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে দুই বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে, এই ক্ষেত্রে বিবাহ বাতিল আইন প্রযোজ্য হবে না। ব্যাখ্যা দিয়ে তাঁরা বলেছেন, কোনও মহিলার বিয়ের জন্য ১৮ বছর নির্দিষ্ট করা নিয়মটি আইনের ১১ নম্বর ধারার বাইরে রাখা হচ্ছে। বিবাহ বাতিলের ক্ষেত্রে ধারা ৫ এবং বিধি ১,৪ এবং ৫-এর লঙ্ঘন হতে হবে। সেই কারণে এক্ষেত্রে বিবাহ বাতিল আইন প্রযোজ্য নয়।
ঘটনাটি কী?
জানা গিয়েছে, মান্ডা জেলার সুশীলা ২০১২-র ১৫ জুন বিয়ে করেছিলেন মঞ্জুনাথকে। বিয়ের সময় সুশীলা ছিল নাবালক। পরে স্বামী বিষয়টি জানতে পেরে বিয়ে বাতিলের জন্য পারিবারিক আদালতে আবেদন করেন। পারিবারিক আদালত আবেদনগ্রহণ করে। সেখানে শুনানিতে বলা হয় হিন্দু বিবাহ আইন অনুসারে পাত্রীর ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর হতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে বিয়ের সময় বয়স ছিল ১৬ বছর ১১ মাস এবং ৮ দিন। পারিবারিক আদালত ২০১৫-র ৮ জানুয়ারি বিয়ে বাতিলের নির্দেশ দেয়।
হাইকোর্টে আবেদন সুশীলার
পারিবারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন সুশীলা। সেখানে শুনানি চলে। হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, এই বিষয়টিকে আইনের ১১ নম্বর ধারার বাইরে রাখা হচ্ছে।