ভোটের লাইনে বোরখায় টান! কর্ণাটকে চাঞ্চল্য
কর্নটক নির্বাচনে এক মুসলিম মহিলাকে বোরখা খুলে মুখ দেখানোর নির্দেশ দেওয়ায় তিনি কাঁদতে শুরু করেন।
আজ (শনিবার) সকাল ৭ টা থেকে কর্ণাটক রাজ্যে চলছে ভোটগ্রহণ। এর মধ্যেই ভোটের লাইনে ঘটে গেল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। লাইনে দাঁড়ানো এক মুসলিম মহিলাকে বলা হল তাঁর বোরখা খুলে ফেলার জন্য! তিনি খুলতে না চাইলে নিরাপত্তারক্ষীরা জোর করে তাঁর বোরখা খুলে নিতে যায়। এরপরই ওই মহিলা কাঁদতে শুরু করেন। যা নিয়ে ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই ভোটকেন্দ্রে।
কর্ণাটকের বেলাগাভির ১৮৫ নম্বর বুথের ঘটনা। সকাল থেকেই এই কেন্দ্রে ভোটারদের লম্বা লাইন পড়েছিল। ভোটদান প্রক্রিয়ায় দ্রুততা আনতে লাইনে দাঁড়ানো অবস্থাতেই ভোটারদের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করা হচ্ছিল। সেসময়ই বোরখা পরিহিতা এই মহিলাকে বোরখা খুলে মুখ দেখাতে বলা হয়। এই নিয়েই নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে বচসা বাধে তাঁর। অপমানে ভেঙে পড়েন এই মহিলা।
ধর্ম পালনেই অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলিম মহিলাই বোরখা ব্যবহার করেন। বোরখা খুলে নেওয়া তাঁদের কাছে বস্ত্রহরণেরই সামিল। এছাড়া ভারতের সংবিধানও সকল ভারতবাসীকে নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার দিয়েছে। সেখানে গনতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে এসে এরকম হেনস্থার মুখোমুখি হতে হবে সম্ভবত ভাবতে পারেননি ওই মহিলা। এনিয়ে ওই কেন্দ্রে অশান্তি বাধে। শেষ পর্যন্ত ওই মহিলা সম্ভ্রম বাঁচিয়ে ভোট দিতে পেরেছেন কিনা তা জানা যায়নি।
তবে, ভারতে মুসলিম মহিলাদের বোরখা খুলতে বাধ্য করানোর ঘটনার নজির আরও আছে। বিশেষ করে বিজেপির শাসনকালে এই প্রবণতা বেড়েছে। এর আগে ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের বাল্লিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের এক সমাবেশেও নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে এক মুসলিম মহিলাকে বোরখা খুলতে বাধ্য করা হয়েছিল। যে ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসে সারা দেশে ব্যাপক বিতর্ক হয়েছিল। যোগী সরকারের দাবি ছিল বোরখার আড়ালে মুখ্যমন্ত্রীকে হত্যা করতে জঙ্গিরাও লুকিয়ে থাকতে পারে। এই মহিলা অবশ্য জানিয়েছিলেন, তিনি একজন বিজেপি সমর্থক।