কর্ণাটকে অচলাবস্থা কং-জেডিএস জোটে! সুযোগ কি তুলতে পারল বিজেপি
কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকার গড়লেও গতবছরে বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই দুই দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে নানা কারণে মনোমালিন্য চলেছে।
কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকার গড়লেও গতবছরে বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই দুই দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে নানা কারণে মনোমালিন্য চলেছে। গত আট মাসের মধ্যে অন্তত বার কয়েক জেডিএস এর নেতা তথা কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী জোট নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। এদিন সরাসরি ফের একবার মুখ্যমন্ত্রীর গদি ছেড়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।
|
ফুঁসছেন কুমারস্বামী
কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের তরফে কুমারস্বামীকে নয় আগের কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে সরকারের প্রধান হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা চলছে। এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করতেই ফুঁসে উঠেছেন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী। স্পষ্ট বলেছেন, যদি এমনই চলতে থাকে, তাহলে আমি পদত্যাগ করতে রাজি আছি। কংগ্রেস মাত্রা ছাড়াচ্ছে।
|
কৌশলী কংগ্রেস
এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস কৌশলী পদক্ষেপ নিয়েছে। উপমুখ্যমন্ত্রী বলছেন, কংগ্রেস নেতারা বলেছেন, সিদ্দারামাইয়া আমাদের নেতা। তিনিই সেরা মুখ্যমন্ত্রী। বিধায়কদের জন্য তিনিই মুখ্যমন্ত্রী। এর মধ্যে ভুল কোথায়? কুমারস্বামীকে নিয়েও আমরা সকলে খুশি রয়েছি। তবে ঘটনা হল কংগ্রেস এমন বললেও সরাসরি দলে বিধায়কদের পাশেই দাঁড়িয়েছে। সেক্ষেত্রে সরকারিভাবে কুমারস্বামীকে কি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কংগ্রেস মানতে পারছে না? সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
|
কী বলছেন সিদ্দারামাইয়া
এই প্রসঙ্গে সিদ্দারামাইয়া সাংবাদিকদের তোপ দেগে বলেছেন, আপনারাই গোলমাল পাকান। একজনকে জিজ্ঞাসা করেন, পাল্টা সেটা নিয়ে দ্বিতীয়জনের কাছে যান। সমস্যা তৈরি করেন। আসলে কোনও সমস্যা নেই। আমি নিজে কুমারস্বামীর সঙ্গে কথা বলব।
বিজেপি বক্তব্য
এই প্রসঙ্গে বিজেপির কর্ণাটক ইউনিটের নেতাদের বক্তব্য, 'এই ঘটনার ফলে বারবার পরিষ্কার হচ্ছে যে রাজ্যে অনৈতিক জোট করেছে কং-জেডিএস। জোর করে ক্ষমতা দখলের লোভে জোট করে মানুষকে প্রতারিত করা হচ্ছে। এই জোটের সরকারে থাকার কোনও অধিকার নেই।' তবে ঘটনা হল এখনও কং জেডিএস সরকারের কোনও বিধায়ক বিজেপিতে যায়নি। তবে সরকারে যে টালমাটাল অবস্থা চলছে তা এদিনের ঘটনায় ফের স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।