২০১৯ কর্ণাটক উপনির্বাচন: বিজেপির দাপুটে গেরুয়া নিশান উড়ল কন্নড়ভূমে! ফ্রন্ট সিটে ইয়েদুরাপ্পা শিবির
গেরুয়া শিবিরের সামনে ছিল ৬ টি বিধানসভা আসন দখলের মূল লড়াই। কারণ ইতিমধ্যেই কর্ণাটকে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অঙ্কে ১০৫জন বিজেপি বিধায়ককে নিয়ে সরকার গঠন করে ফেলেছে ইয়েদুরাপ্পা শিবির।
গেরুয়া শিবিরের সামনে ছিল ৬ টি বিধানসভা আসন দখলের মূল লড়াই। কারণ ইতিমধ্যেই কর্ণাটকে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অঙ্কে ১০৫জন বিজেপি বিধায়ককে নিয়ে সরকার গঠন করে ফেলেছে ইয়েদুরাপ্পা শিবির। এর সঙ্গে সমর্থন রয়েছে ২ জন নির্দলীয়র।ম্যাজিক ফিগার ১১৩ টি আসন পকেটে পুরে ফেলাই ছিল ২০১৯ ডিসেম্বরে কর্ণাটক উপনির্বাচনে বিজেপির কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আর এই ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতে পদ্মশিবিরের দরকার ছিল আর মাত্র ৬ টি আসন। তবে সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে বিজেপির ইয়েদুরপ্পা শিবির এখন ঘোড়ার গতিতে দৌড়চ্ছে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক কর্ণাটকে বিজেপির ঝুলিতে কী কী এলো।
১০ টি এগিয়ে বিজেপি
সকাল থেকেই কর্ণাটকের উপনির্বাচনের ট্রেন্ড যা বলছে তাতে ২২৪ টি আসনের কর্ণাটক বিধানসভা দখল করা এখন বিজেপির কাছে 'বাঁয়ে হাত কা খেল'! ১৫ টি আসনের উপনির্বাচনে প্রাথমিক গণনায় বিজেপি ১০ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। আপাতত ট্রেন্ডের যা গতি তাতে বিজেপির দখলে আসতে পারে ১২ টি আসন। দুটি আসনে ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির হাড্ডা হাড্ডি লড়াই চলছে।
কোন কোন জায়গায় বিজেপি এগিয়ে?
১৫ টি বিধানসভা আসনের এই উপনির্বাচনে ১০ টি দখল করে ১২ টি দখলের পথে বিজেপি। জেডিএস ও কংগ্রেসের জোট সরকারকে ফেলে কয়েকমাস আগেই কন্নড়ভূমের মসনদ দখল করে বিজেপির ইয়েদুরপ্পা সরকার। আর তারপরেই এই নির্বাচন বিজেপির কাছে শক্তিপরীক্ষার একটি বড় দিক ছিল। সেখানে ইয়েল্লাপুর ও হিরেকপুরের মতো জায়গায় বিজেপি নিজের জমি দখলে রেখে ফেল দাক্ষিণাত্যে বিজয়রথ দাপটের সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পদ্মশিবির।
ভোট অঙ্ক ও ১৭ জন বিধায়ক
চূড়ান্ত নাটকীয়তার পর কর্ণাটকে কয়েকমাস আগেই সরকার গড়েছিল ইয়েদুরপ্পা শিবির। সেই সময় ১৭ জন বিধায়ক জেডিএস ও কংগ্রেসের জোট সরকারকে ফেলতে ইস্তফা দিয়েছিলেন। তাঁদের অ্যান্টি ডিফেকশন আইনে বাতিল করা হয় সদস্যপদ। আর সেই ১৭ জন বিধায়কের আসনের মধ্যে ১৫ টি আসনে গত ৫ ডিসেম্বর ভোট সম্পন্ন করা হয়েছে। যার ফলাফল আজ প্রকাশ্যে আসছে। প্রসঙ্গত, ১৭ টি আসনের মধ্যে ২ টি আসন নিয়ে সুপ্রিমকোর্টে চলছে আইনি লড়াই।
ইয়েদুরপ্পার সামনে চ্যালেঞ্জ,জমি হারাল কংগ্রেস!
প্রসঙ্গত, এই উপনির্বাচন কর্ণাটকে গেরুয়া শিবিরের সরকার ধরে রাখতে বড় চ্যালেঞ্জ ছিব বিজেপির সামনে। সেক্ষেত্রে মসনদ টলমল করছিল ইয়েদুরপ্পার। তবে ভোট ৬ টি আসনের জায়গায় ১০ টি আসন সকাল সকাল নিশ্চিত করে ফেলায় বিজেপি শিবিরে তথা ইয়েদুরপ্পা শিবিরে আপাতত স্বস্তির হাওয়া। এদিকে, ইয়েড্ডি শিবিরকে দুরমুষ করতে সিদ্দারামাইয়া-কুমারস্বামীর কংগ্রেস ও জেডিএস জোটের প্রয়োজন ছিল নূন্যতম ১২ টি আসন। আর তা পেলেই ফের একবার কর্ণাটকে সরকার গড়ার সুযোগ পেয়ে যেত কংগ্রেস জোট। তবে সেগুড়ে বালি ছড়িয়ে দিয়েছে ইয়েদুরপ্পা শিবির।
রিসর্ট-রাজনীতি ও ঘোড়া কেনাবেচার প্রভাব পড়েনি বিজেপির ভোট যুদ্ধে!
একাধিকবার
কর্ণাটকে
বিজেপি
সরকারে
আসার
পর
থেকেই
ঘোড়া
কেনাবেচার
অভিযোগ
ছিল
ইয়েদুরপ্পাদের
বিরুদ্ধে।
বিরোধী
শিবিরের
দাবি
ছিল,
বিজেপি
বিধায়ক
কেনাবেচা
করে
ক্ষমতায়
আসতে
চাইছে।
অন্যদিকে,
কন্নড়
রাজনীতি
ঘিরে
দেখা
যায়
রিসর্ট
রাজনীতিও।
রিসর্টে
বিধায়কদের
রেখে
বিধানসভায়
সংখ্যাগরিষ্ঠতা
প্রমাণের
দিন
তাঁদের
আলাদা
বাসেও
নিয়ে
যেতে
দেখা
যায়
বেঙ্গালুরুতে।
তবে
এদিনের
নির্বাচনের
ফলাফল,
বিজেপির
বিরুদ্ধে
ঘোড়া
কেনাবেচার
দুর্নীতির
তকমা
হঠানোর
শ্রেষ্ঠ
মঞ্চ
হয়ে
উঠল।
বিভিন্ন রাজ্যের ভোটে বিজেপির খারাপ ফলের প্রভাব কি আদৌ পড়ল কর্ণাটকে?
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রে সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েও সরকার গড়তে পারেনি বিজেপি। সেখানে শিবসেনার সঙ্গে জোট গড়ে নির্বাচনে লড়ে খুব একটা ভালো ফল পায়নি পদ্মশিবির । অন্যদিকে, ২০১৯ সালে হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনেও একই হাল হয় গেরুয়া শিবরের। মনে করা হচ্ছিল , এই নেতিবাচক নির্বাচনী প্রভাব কর্ণাটকের নির্বাচনে পড়তে পারে। তবে সেই সমস্ত সম্ভাবনাকে দূরে সরিয়ে ইয়েদুরপ্পা শিবির কার্যত রাজনৈতিক মাটি কর্ণাটকে শক্ত করে ফেলল এই উপনির্বাচনে।
কর্ণাটক উপনির্বাচন : বিজেপি প্রাথমিক ট্রেন্ডে এগোতেই হার স্বীকার কংগ্রেসের
মানসিকভাবে অসুস্থ রাজ্যপাল! তুমুল আক্রমণ রাজ্যের মন্ত্রীর