'গেরুয়া পতাকাই হবে দেশের জাতীয় পতাকা', হিজাব বিতর্কে পারদ চড়ালেন কর্নাটকের বিজেপি নেতা
'গেরুয়া পতাকাই হবে দেশের জাতীয় পতাকা', হিজাব বিতর্কে পারদ চড়ালেন কর্নাটকের বিজেপি নেতা
কর্নাটকের হিজাব বিতর্কে আরও পারদ চড়ালেন বিজেপি নেতা। তিনি দাবি করেছেন ভবিষ্যতে গেরুয়া পতাকাই হতে চলেছে দেশের জাতীয় পতাকা। তখন সকলে এই গেরুয়া পতাকাকে সম্মান জানাবে বলে দাবি করেছের কর্নাটকের পঞ্চায়েত মন্ত্রী। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কর্নাটকের কলেেজ ফ্ল্যাগ পোস্টে গেরুয়া পতাকা ওড়ানো নিয়ে বিতর্ক তৈির হয়েছে গোটা দেশে।
হিজাব নিয়ে নতুন করে উত্তেজনার পারদ চড়ালেন কর্নাটকের পঞ্চায়েত মন্ত্রী। গত পরশু থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। তাতে দেখানো হয়েছে কর্নাটকের একটি কলেজে হিজাব পরার প্রতিবাদে এক দল ছেলে কলেজের ফ্ল্যাগ পোস্টে জাতীয় পতাকা নামিয়ে গেরুয়া পতাকা উড়িয়েছে। পরে জানা যায় ভিডিওটিতে ভুল দেখানো হয়েছে। কলেজে গেরুয়া পতাকা উড়লেও জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়নি। জাতীয় পতাকা সেই ফ্ল্যাগ পোস্টে ছিল না। ফ্ল্যাগপোস্টটি ফাঁকা ছিল। সেখানে গেরুয়া পতাকা ওড়ানো হয়েছে।
এদিকে এই ভিডিও শেয়ার করে কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমার বিজেপির বিরুদ্ধে একের পর এক নিশানা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেেছন বিজেপি সরকার রাজ্যে গৈরিক সন্ত্রাস তৈরির চেষ্টা করছে। শিবকুমারের সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং কুমারস্বামীও। সিদ্দারামাইয়া স্পষ্ট নিশানা করে বলেছেন, হিজাব পরা কোনও ভাবেই বন্ধ করা যায় না কারণ তারা শৈশব থেকেই সেটা পরে আসছে। হিজাব পরার জন্য কোনও পড়ুয়াকে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যায় না। সেটা তার মৌলিক অধিকার। বিজেপি সরকার অনৈতিক ভাবে সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে হিজাব বিতর্কে কর্নাটক রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে। প্রতিবাদে কলেজে কলেজে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। লাঠিচার্জ থেকে ইটবৃষ্টি সবটাই হয়েছে কলেজে। শেষে পরিস্থিতি সামাল দিতে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে সবরকম বিক্ষোভ, মিিটং, মিছিল, জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে কর্নাটক পুলিশ। হিজাব পরে কিছুতেই কলেজে আসা যাবে না বলে নির্দেশিকা জারি করেছে কর্নাটক সরকার। শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনওরকম ভেদাভেদ তৈরি করা যাবে না বলেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কাজেই নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই। কর্নাটকের শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন হিজাব নির্দেশিকা নিয়ে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে। এর নেপথ্যে কারা রয়েছে তার তদন্ত শুরু করেছে কর্নাটকের স্বরাষ্ট্র দফতর।