বিজেপি সরকারে ভাঙন রহস্যময় চিঠি ঘিরে! কন্নড় রাজনীতি নিয়ে মুখ খুলল গেরুয়া শিবির
ফের একবার সরগরম কন্নড় রাজনীতি । আর এবার বিজেপিতে ভাঙনের ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে ঘোরাফেরা করছে একটি রহস্যময় চিঠি। যে চিঠিতে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি বক্তব্য উঠে এসেছে। আর মনে করা হচ্ছে, এই চিঠিই কর্ণাটকে ইয়েদুরপ্পা সরকারের 'কাল' ডেকে আনবে! যদিও পদ্মশিবির এমন সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছে।
সোমবার মধ্যরাতে বিজেপির বিদ্রোহী নেতাদের বৈঠক!
শোনা গিয়েছিল যে বিজেপি নেতা জগদীশ শেট্টরের বাড়িতে কর্ণাটকের ২২জন বিধায়ক মধ্যরাতে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন। সোমবার মধ্যরাতের এই রুদ্ধদ্বার বৈঠকই কর্ণাটক বিধানসভায় বিজেপি সরকারের ভাঙন ডেকে আনতে পারে বলে জল্পনা তুঙ্গে চড়তে শুরু করে। এরপরই আসে এক রহস্যময় চিঠির প্রসঙ্গ।
রহস্যময় চিঠিতে কোন বক্তব্য উঠে আসে?
রহস্যময় চিঠিতে বলা হয়েছে, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা সরকারের মাথায় থেকে কেবলমাত্র নিজের পরিবার , পরিজনদের বেশি সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছেন। আর তাই নিয়েই বিএস ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ এনেছে ইয়েদুরাপ্পা বিরোধীরা। আর সেই বিরোধী বিজেপি শিবির থেকেই রহস্যময় চিঠি কন্নড় রাজনীতির আঙিনায় ঘোরাফেরা করছে বলে খবর।
বয়স সংক্রান্ত কটাক্ষ
চিঠিতে
দাবি
করা
হয়েছে
৭৭
বছর
বয়সে
বিএস
ইয়েদুরাপ্পার
উচিত
দলের
অভিভাবক
হওয়া।
কোনও
মতেই
প্রত্যক্ষ
রাজনীতিতে
তাঁরা
থাকা
উচিত
নয়,
বয়স
জনিত
কারণে।
তাঁকে
রাজ্যপালের
পদ
দেওয়ার
জন্যও
চিঠিতে
দাবি
তোলা
হয়েছে।
বিদ্রোহী জেডিইউ ও কংগ্রেস বিধায়ক যাঁরা দল পাল্টেছেন.. ক্ষোভ তাঁদের নিয়ে!
মনে করা হচ্ছে, কয়েকদিন আগে কর্ণাটক সরকারের যে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করা হয়েছে, তা খুব একটা ভালোভাবে নেয়নি দলের একটি গোষ্ঠী। কারণ সেখানে জেডিইউ ও কংগ্রেস ছেড়ে আসা বিধায়ক যাঁরা সদ্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন , তাঁদের অনেককে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়েছে। আর তাতেই ক্ষোভ বিজেপি বিধায়কদের। সেই থেকেই গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের সূত্রপাত।
বিজেপির দাবি
'ইয়েদুরাপ্পা সরকারের সামনে কোনও বিপদ নেই।' এই ভাষাতেই বিজেপি গোটা বিষয়টি নিয়ে নেতিবাচক জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছে। পদ্মশিবির জানিয়েছে কর্ণাটক সরকারস নিরাপদ হাতে রয়েছে। সরকারে কোনও ভাঙনই ধরেনি। এই বিতর্ক বিরোধী শিবির কংগ্রেস ও জেডিএস এর ষড়যন্ত্র বলেও দাবি করেছে গেরুয়া শিবির।