এই থানায় এলেই মিলবে সরবত, এয়ার কুলারের ঠান্ডা হাওয়া
থানা শব্দটা শুনলেই কেমন একটা রুক্ষ কাঠখোট্টা চেহারা চোখের সামনে ভেসে ওঠে। আতিথেয়তা বা আপ্যায়ন নামক বিষয়টা এই থানা শব্দের সঙ্গে মেলে না। কিন্তু রাজস্থানের কালু থানায় এলে পুরো অন্য ছবি ধরা পড়বে। দারোগা থেকে কনস্টেবল সকলের আচরণ চমকে দেবে আপনাকে।

অভিযোগকারী থেকে অযুক্ত সকলের আপ্যায়ণের জন্য বিেশষ আয়োজন রয়েছে এই থানায়। যাতে গরম না লাগে তার জন্য রয়েছে এয়ার কুলারের ঠান্ডা হাওয়া। পরিচ্ছন্ন শৌচাগার। আবার গরমে তেতে পুড়ে এলে এক গ্লাস ঠান্ডা সরবতও তৈরি থাকবে থানায়। শুধু অভিযোগ জানাতে এলেই যে এই পরিষেবা পাওয়া যােব এমন নয়। পথে ঘাটে অপরাধ করায় যাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয় তাঁদের জন্যও রয়েছে এই ব্যবস্থা।
২০১২ সালে এই থানাটি তৈরি হয়েছিল। এই ব্যবস্থাপনার কারণে অপরাধের সংখ্যা একদিকে যেমন কমেছে তেমনই কমেছে অভিযোগের হার। কালু থানার বেশিরভাগ এলাকার বাসিন্দাই কৃষিজীবী। তাই ছোটখাটো চুরির ঘটনার পাশাপাশি জমি সংক্রান্ত সমস্যাই বেশি আসে এই থানায়। ২০১৪ সালে সেখানে এফআইআর-এর সংখ্যা ছিল ৭৪। সেই সংখ্যা ক্রমে কমতে কমতে দাঁড়িয়েছে ৩৪-এ।
২০১৪ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ১০টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। ১২টি ধর্ষণের অভিযোগ এবং ৬টি অপহরণের অভিযোগ জমা পড়েছে থানা। কোনও রকম ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। প্রায় সবকটি অভিযোগেরই পদক্ষেপ করা হয়েছে। কালুর পুরো বাজার জুড়ে বসানো রয়েছে সিসিটিভি। চুরির, মারধর অথবা ট্রাফিক আইন ভাঙার মতো ঘটনা ঘটলে আগে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কালু থানাই প্রমাণ করে দিয়েছে সুব্যবহার এবং বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে দেয়।