এক যুগ পুরনো হল কগ্গদাসপুরা বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশনের দুর্গাপুজো, এবছর রয়েছে অনেক চমক
১২ বছর আগে কগ্গদাসপুরা এলাকায় কয়েকজন বাঙালির উদ্যোগে শুরু হয় দুর্গাপুজো।
বেঙ্গালুরু শহরের একটি প্রান্তে অবস্থিত কগ্গদাসপুরা এলাকার নাম এই শহরের বাঙালিরা প্রায় সকলেই জানেন। কারণ একটাই, এই এলাকায় বহু বাঙালির বাস। আর সেই কারণেই এলাকায় বাঙালি রেস্তরাঁ থেকে শুরু করে বাঙালি মিষ্টি, কোনও কিছুরই অভাব নেই। এখানে থাকলে মনেই হবে না, আপনি কলকাতায় রয়েছেন নাকি দুই হাজার কিলোমিটার দূরের কোনও প্রবাসে।
সেই ভাবনা থেকেই ১২ বছর আগে এই এলাকায় কয়েকজন বাঙালির উদ্যোগে শুরু হয় দুর্গাপুজো। যা আজ অনেক বড় আকারে পালিত হচ্ছে। আকারে ও বহরে নয়, জাঁকজমক ও আন্তরিকতায়ও অন্য পুজোগুলির থেকে কম যায় না এই পুজো।
প্রতিবছর পুজোয় একেবারে ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত নিষ্ঠাভরে পুজো হয়। প্রতিদিন প্রসাদ বিতরণ ও অষ্টমীর দিন এলাকার সকলে মিলে একসঙ্গে অঞ্জলি দেওয়ার আনন্দ এখানকার পুজোয় অন্য মাত্রা যোগ করে। একটি স্কুলে মাঠে পুজো হওয়ায় বিশাল জায়গা জুড়ে মণ্ডপ হয়। থিম নয়, ছাপোষা আয়োজনেই এই পুজো সকলের মন জয় করে নিয়েছে।
কোনওবারই থিম নির্ভর সাজসজ্জায় না গিয়ে একেবারে চিরাচরিত ভাবনাকে পাথেয় করে দেবী দুর্গার বন্দনা করা হয় এখানে। সুবিশাল প্যান্ডেলে থিমের মারপ্যাঁচ নেই। দেবীর আসন থেকে শুরু করে বসার জায়গা পুরোটাই ঢেকে দেওয়া হয়, যাতে রোদ-বৃষ্টিতে দর্শনার্থীদের কোনও অসুবিধা না হয়। পাশেই আর একটি স্টেজ বেঁধে পুজোর সবকটি দিনই কোনও না কোনও অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। স্থানীয় বাঙালিদের পাশাপাশি অন্য ভাষার মানুষও সমানতালে সেই অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
কগ্গদাসপুরার বিশাল মণ্ডপ জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পুজো দিনগুলিতে সকলে গল্প করেন। সন্ধ্যাবেলায় হয় নানা অনুষ্ঠান। আগের বছরগুলিতে গায়ক অঞ্জন দত্ত, সারেগামাপা-র মেন্টর তথা সঙ্গীত শিল্পী রথীজিৎ কগ্গদাসপুরার দুর্গা মণ্ডপে এসে মাতিয়ে গিয়েছেন। এবারও থাকছে চমক। সঙ্গীতশিল্পী স্বর্ণা ঘোষ, অমিত মন্ডলরা এবার আসর মাতাতে আসছেন।