কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে তৃতীয় ফ্রন্টের পক্ষে কেসিআর, ‘ভারত রাষ্ট্র সমিতি’ গঠনে জল্পনা
বিজেপি বিরোধী জোট গড়ে তুলতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও-ও কম প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন না। তিনিও চান কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে শুধু আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ে তুলতে।
বিজেপি বিরোধী জোট গড়ে তুলতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও-ও কম প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন না। তিনিও চান কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে শুধু আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ে তুলতে। সেই লক্ষ্যেই তিনি ভারত যাত্রা করেছেন সম্প্রতি। মিলিত হয়েছেন বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী নেতৃত্বের সঙ্গে। সম্প্রতি তাঁর নয়া পদক্ষেপ নজর কাড়ল। তিনি তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি থেকে ভারত রাষ্ট্র সমিতির ঘোষণা করলেন।
১
কংগ্রেসকে
জোট
নেতৃত্বে
শিখরে
চান
না
কেসিআর
২০২৪
নির্বাচনের
আগে
এই
তেলেঙ্গানা
রাষ্ট্র
সমিতি
থেকে
ভারত
রাষ্ট্র
সমিতি
হয়ে
ওঠার
পদক্ষেপ
নিয়ে
তিনি
বিজেপি
বিরোধী
সমস্ত
দলকেই
একটি
বিশেষ
বার্তা
দিতে
চেয়েছেন।
তিনি
সাফ
জানিয়ে
দিয়েছেন
বিজেপি
বিরোধিতায়
তাঁর
অবস্থান
ঠিক
কোন
জায়গায়।
তিনি
যে
কংগ্রেসকে
জোট
নেতৃত্বে
শিখরে
দেখতে
চাইছেন
না,
তা
সাফ
করে
দিয়েছেন
তাঁর
সাম্প্রতিক
পদক্ষেপে।
২
তিনি
বুধবার
সকালে
কর্নাটকের
প্রাক্তন
মুখ্যমন্ত্রী
এইচডি
কুমারস্বামী
ও
ডিএমকের
রিক
থেলাকাপ্পিয়ান
থিরুমাবলাভানের
সভাপতির
সঙ্গে
যোগ
দিয়েছিলেন।
তখনই
তিনি
প্রচ্ছন্ন
বার্তা
দিয়েছিলেন
যে
বিজেপিকে
কেন্দ্রের
ক্ষমতা
থেকে
হটাতে
আঞ্চলিক
সমস্ত
দলের
এক
হওয়া
উচিত।
তাঁদেরকে
জাতীয়
বিকল্প
নিয়ে
সক্রিয়ভাবে
চিন্তা
করতে
হবে।
জাতীয়
বিকল্প
গড়ে
তোলার
বার্তা
দেওয়ার
পরই
তিনি
নিজের
দলের
নাম
পরিবর্তন
করে
তেলেঙ্গানার
জায়গায়
ভারত
রাষ্ট্র
সমিতি
বলে
ঘোষণা
করেন।
৩
বিজেপির
বিরুদ্ধে
রাজনৈতিক
লড়াইকে
ত্বরাণ্বিত
করতে
কেসি
রাও
সম্প্রতি
একাধিক
পদক্ষেপ
নিয়েছেন।
টিআরএস
এই
বছরের
এপ্রিলে
তার
প্রতিষ্ঠা
দিবসের
অনুষ্ঠানে
সিদ্ধান্ত
নিয়েছিলেন
দেশের
স্বার্থে
জাতীয়
রাজবীতিতে
মূল
ভূমিকা
নিয়ে।
বিজেপি
রাজনৈতিক
সুবিধার
জন্য
সাম্দার্তিয়িক
অনুভূতিকে
শোষণ
করছে
বলে
তিনি
অভিযোগ
করেন।
৪
এরপরই
তিনি
ভারত
যাত্রায়
বেরিয়ে
একে
একে
সাক্ষাৎ
করেন
বাংলার
মুখ্যমন্ত্রী
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়,
বিহারের
নীতিশ
কুমার,
দিল্লির
অরবিন্দ
কেজরিওয়াল,
তামিলনাড়ুর
এম
কে
স্ট্যালিন,
কেরলের
পিনারাই
বিজয়ন
ও
ওড়িশার
নবীন
পট্টনায়কের
সঙ্গে।
কর্নাটকের
প্রাক্তন
মুখ্যমন্ত্রী
এইচ
ডি
কুমারস্বামী
ও
ডিএমকের
মিত্র-শক্তি
থোল
তিরুমাবলাভানের
সঙ্গে
এক
পার্টিতেও
যোগ
দিয়েছিলেন
তিনি।
এমনকী
শুধু
রাজনৈতিক
পার্টি
নয়,
কেসিআর
কৃষকদের
সংগঠন
এবং
ট্রেড
ইউনিয়নের
কাছেও
ছুটেছেন
বিজেপি
বিরোধী
জোটকে
শক্তিশালী
আকার
দিতে।
৫
সম্প্রতি
দক্ষিণে
বিজেপি
উত্থান
ঘটাতে
চাইছে।
গেরুয়া
শিবির
টার্গেট
করেছে
তেলেঙ্গানাকে।
সম্প্রতি
পুর
নির্বাচন
ও
উপনির্বাচনে
বিজেপি
ভালো
ফলও
করেছে।
তেলেঙ্গানার
দিকে
ফোকাস
করতেই
কেসিআর
আরও
বিরোধিতা
শুরু
করেছেন।
টিআরএস
এই
মর্মে
বিজেপির
জনবিরোধী
নীতির
বিরুদ্ধে
সরব
হয়ে
জাতীয়
রাজনীতিতে
নামার
বার্তা
দেন।
বিজেপিমুক্ত
ভারত
গড়ার
ডাক
দেন
তিনি।
৬
সম্প্রতি
এক
জনসভায়
কেসিআর
বলেছিলেন,
মানুষ
আমাকে
জাতীয়
রাজনীতিতে
ডাকছে।
আমি
আপনাদের
দোয়া
নিয়ে
সেখানে
যাচ্ছি।
আমাদের
বিজেপিমুক্ত
ভারতের
জন্য
লড়াই
করতে
হবে।
২০২৪
সালের
নির্বাচনে
একটি
অ-বিজেপি
সরকার
গঠন
করতে
হবে।
তাহলে
আমাদের
রাজ্য
যেভাবে
উন্নীত
হয়েছে,
গোটা
দেশ
সেভাবে
উন্নীত
হবে।
ভারত
রাষ্র্।
সমিতি
গঠন
তারই
প্রাথমিক
পদক্ষেপ।