কংগ্রেসে বিদ্রোহ জারি! কমলনাথ সরকারের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত জ্যোতিরাদিত্য হানলেন বান
আবারও প্রকাশ্যে কংগ্রেসের কোন্দল। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের মধ্যে কোন্দল তীব্র আকার নিয়েছে।
আবারও প্রকাশ্যে কংগ্রেসের কোন্দল। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের মধ্যে কোন্দল তীব্র আকার নিয়েছে। সিন্ধিয়া প্রকাশ্যেই অভিযোগ করেছেন মধ্যপ্রদেশের কমলনাথ সরকারের বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ, মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকার কৃষকদের ঋণ পুরোপুরি ছাড় দেয়নি।
সম্পূর্ণ ঋণ মকুব হয়নি, তোপ সিন্ধিয়ার
মধ্যপ্রদেশে একটি অনুষ্ঠানে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন, ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ মকুব করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু আমাদেরই পরিচালিত রাজ্য সরকার কেবল ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত ঋণ মকুব করতে পেরেছে। অবিলম্বে প্রতিশ্রুতিমতো ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ মকুব করা উচিত সরকারের।
২০ লক্ষ কৃষকের ঋণ মকুব, দাবি কমলনাথের
গত আগস্টে রাজ্যের কৃষকদের উদ্দেশ্যে একটি খোলা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ দাবি করেছিলেন, তাঁর সরকার রাজ্যের ২০ লক্ষ কৃষকের ঋণ মকুব করেছে। সাত হাজার কোটি টাকা ঋণ মকুব হয়েছে ইতিমধ্যে। তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি মতোই সরকার ঋণ মকুব করার উদ্যোগ নিয়েছে।
কমলনাথ সরকারকে ক্ষোভ উগরে দিলেন সিন্ধিয়া
মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাহুল গান্ধী আশ্বাস দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এলে শপথ নেওয়ার ১০ দিনের মধ্যে কৃষিঋণ মকুব করবে সরকার। রাহুলের কথা মতো ১০ দিনের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শুরু হলেও, তা সম্পূর্ণ করতে গাফিলতি করা হচ্ছে বলে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দিলেন সিন্ধিয়া।
রাজ্যের দু'জন শীর্ষ-নেতার মতপার্থক্য প্রকাশ্যে
সিন্ধিয়ার এই মন্তব্য রাজ্যের দু'জন শীর্ষস্থানীয় নেতার মতপার্থক্যকে আবারও সামনে এনে দিয়েছে। ২১ অক্টোবর মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে কংগ্রেসের এই বিদ্রোহী মনোভাব এবং মতভেদগুলি সাংঘাতিক হয়ে দেখা দিয়েছে। তা নির্বাচনী ফলে বুমেরাং হয়ে দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
[দেশের আর্থিক মন্দা কাটাতে জিএসটি পর্যালোচনায় বসছে মোদী সরকার]