টুইটার বায়ো ধোঁয়াশা! তবে কী বিজেপি-র মোহ ভঙ্গ হল? মুখ খুললেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া
চলতি বছর ১১ মার্চ কংগ্রেসের সঙ্গে দীর্ঘ ১৮ বছরের সম্পর্ক শেষ করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। সেই ঘটনার তিন মাসও অতিক্রান্ত হয়নি। এরমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়, তিনি কি বিজেপি ছাড়ছেন? হঠাৎ এই জল্পনার কারণ, তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে বিজেপি সদস্য হওয়ার কোনও চিহ্ন খুঁজে পাওযা যায়নি।
মধ্যপ্রদেশে বিজেপি সরকার গঠিত হয় সিন্ধিয়ার দৌলতে
করোনা লকডাউনের ঠিক কয়েক দিন আগে মধ্যপ্রদেশে বিজেপি সরকার গঠিত হয় শিবরাজ সিং চৌহানের নেতৃত্বে। মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেসের কমলনাথ সরকারকে ফেলে দিয়ে শিবরাজের বিজেপি সরকার আনার নেপথ্যে জ্যোতিরাদিত্য শিবির।
বিজেপিতে মোহভঙ্গ সিন্ধিয়ার
এদিকে বিজেপিতে যোগ দেওযার ২ মাস যেতে না যেতেই পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে মধ্যপ্রদেশে। জানা গিয়েছিল, মধ্যপ্রদেশ থেকে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে বিজেপির টিকিকে রাজ্যসভায় দাঁড় করানো হবে। সেই মর্মে জ্যোতি শিবির আগ্রহী ছিল গেরুয়া শিবিরের জন্য। এই টিকিটের পরই জ্যোতিরাদিত্যর মন্ত্রিত্বও মোদী ক্যাবিনেটে পাক্কা ধরে নিয়েছিলেন অনেকেই। তবে করোনা আবহে সেসব হয়নি।
সিন্ধিয়ার বিজেপি ছাড়ার জল্পনা
তবে এসবের মাঝেও অন্তর্দ্বন্দ্বের সব জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে সত্যিটা প্রকাশ করেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া নিজে। বর্তমানে নিজের টুইটারের বায়োতে তিনি নিজেকে শুধুই জনতার সেবক এবং ক্রিকেটপ্রেমী হিসেবে পরিচয় দেন। বিষয়টি নজরে আসতেই সংবাদমাধ্যম দাবি করে, নিজের টুইটার প্রোফাইলের থেকে 'বিজেপি' শব্দটি মুছে য়ে ফেলেছেন সিন্ধিয়া। বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়ার জন্যই তাঁর এমন পদক্ষেপ বলে জল্পনা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে।
ভুয়ো খবর ওড়ালেন সিন্ধিয়া
তবে শনিবার টুইটারে লিখে সিন্ধিয়া সমস্ত বিষয় পরিষ্কার করে দিয়েছেন। একটি সংবাদসংস্থাকে সিন্ধিয়া বলেছেন,'আমার টুইটার প্রোফাইলের বায়োতে কোনও পরিবর্তন হয়নি। মিডিয়া কোনওরকম যাচাই না করেই এমন খবর করেছে। মানুষের এধরনের গুজবে কান দেওয়া উচিত নয়। কিছুই বদল করা হয়নি। আমার টুইটার বায়োতে প্রথম থেকেই শুধু মাত্র জনতার সেবক এবং ক্রিকেটপ্রেমী পরিচয় দেওযা ছিল। বিজেপি আমি কোনওদিন অ্যাড করিনি যে সরাবো।'