'জ্যোতিরাদিত্যর জন্য আমার বাড়ির দরজা সবসময় খোলা ছিল'! মর্মাহত রাহুল গান্ধীর বার্তা
জ্যোতিরাদিত্যই এমন একজন ছিলেন যিনি যখন তখন আমার বাড়ি আসতে পারতেন: রাহুল গান্ধী
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বিজেপিতে যাচ্ছেন , এমন খবর যখন আসতে থাকে তখন রাহুল গান্ধীকে প্রতিক্রিয়া দিতে বললেও ,তিনি বলেন 'পরে কথা হবে'। এরপর এদিনম দুপুরে সিন্ধিয়া রাজ পরিবারের সন্তান যখন বিজেপিতে যোগ দিয়ে দেন, তারপর রাহুল গান্ধী নিজের প্রতিক্রিয়া জানান , গোটা পর্বটি নিয়ে।
জ্যোতিরাদিত্য সম্পর্কে রাহুল
দুই সমবয়সী নেতা এককালে ছিলেন কংগ্রেসের শিবিরে। কয়েক মাসের ছোট বড় রাহুল ও জ্যোতিরাদিত্য। দু'জনেই খুব ভালো বন্ধু ছিলেন বলে জানা যায়। তবে জ্যোতিরাদিত্য দল ছাড়তেই রাহুল মুখ খোলেন। আর রাহুল গান্ধীর সেই বার্তা খানিকটা মনকষ্টের সুরেই আসতে থাকে।
'জ্যোতিরাদিত্যই পারতেন ..'
'জ্যোতিরাদিত্যই এমন একজন ছিলেন যিনি যখন তখন আমার বাড়ি আসতে পারতেন', এমন বক্তব্য দিয়েই বন্ধুর অন্য রাজনৈতিক শিবিরে যাওয়ার ঘটনাকে বর্ণনা করেন রাহুল গান্ধী। আর সেই বার্তার মধ্যেই ছিল এক বিরাগের সুর।
রাহুল ১১ মার্চ সকালে কী বলেছিলেন?
১১ মার্চ সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা হতেই রাহুল গান্ধী বলেন 'গুড মর্নিং'। এরপর জ্যোতিরাদিত্য প্রসঙ্গ উত্থাপন হতেই তিনি বলেন, এখনই কিছু বলতে চাননা তিনি। যদিও তার খানিক আগেই রাহুল ক্ষোভের সুরে বিজেপির বিরুদ্ধে টুইট করেন।
একটি নৈশভোজ ও রাহুল-জ্যোতি সম্পর্কের পতন
এই ঘটনা গত বছরের। যে সময় কমল নাথ ও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে নিয়ে এক ধনকুবেরের বাড়িতে নৈশভোজে যান রাহুল গান্ধী। আর সেখানে দুই মধ্যপ্রদেশের নেতার মধ্যে ঠান্ডা লড়াউ থামানোর চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু লাভের লাভ হয় না। সেই সময় দুর্নীতি নিয়ে মুখ খোলেন সিন্ধিয়া। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যে সমস্ত আমলারা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাঁদের কমলনাথ সরকরা কেন বদলি করছেন না? যার সদুত্তর দিতে পারেননি রাহুল। আর কমল নাথের সমর্থনেই রাহুলের বার্তা আরও স্পষ্ট হয়। এরপর থেকেই ক্ষোভ আরও বাড়ে জ্যোতিরাদিত্যর।