জেএনইউয়ের হামলার তীব্র সমালোচনায় জুটা
জেএনইউয়ের হামলার তীব্র সমালোচনায় জুটা
রবিবার সন্ধ্যায় জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হস্টেলে ঢুকে তাণ্ডব চালায় মুখ ঢাকা বহিরাগতরা। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবিভিপির গুন্ডারা ব্যাট, উইকেট, লাঠি, লোহার রড নিয়ে জেএনইউ ক্যাম্পাসে হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। গুরুতর জখম ছাত্র সংসদের সভানেত্রী বাংলার মেয়ে ঐশী ঘোষ, অধ্যাপিকা সুচরিতা সেন–সহ অনেকে। সেই খবর জানাজানি হওয়ার পরে দেশজুড়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় চুপ করে নেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনও (জুটা)। জেএনইউ–এর পড়ুয়া ও ও অধ্যাপকদের ওপর যে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে তা বিস্ময়কর ও ভয়ঙ্কর বলে জানিয়েছে জুটা। রবিবারই এই জঘন্য ঘটনার তীব্র নিন্দার জন্য সব ক্ষেত্রের মানুষদের আহ্বান জানিয়েছে জুটা।
এক বিবৃতিতে জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থ প্রতিম রায় জেএনইউ কর্তৃপক্ষের কাছে আর্জি জানিয়েছেন যে বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে এবং হিংসা ও রক্ত বন্ধ করতে কেন্দ্র ও দিল্লি সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'জেএনইউ পড়ুয়া–শিক্ষকদের ওপর মুখ ঢাকা বহিরাগতরা লাঠি, রড ও অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাস ও মেয়েদের হস্টেলের ভেতর যে ধরনের হামলা চালিয়েছে তার ভয়াবহতা দেখে জুটা বিস্মিত।’ বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, 'এই ভয়াবহ হমালা পুলিশের উপস্থিতিতেই হয়েছে।’ পার্থ প্রতিম রায় জানিয়েছেন যে তিনি জেএনইউয়ের এক বন্ধু ও সহকর্মীর কাছ থেকে এই ঘটনা সম্পর্কে যেটি জানতে পেরেছেন তা হল এক নির্দিষ্ট কোনও রাজনৈতিক দলের এই দুষ্কৃতীরা। তিনি বলেন, 'এই জঘন্য অপরাধের নিন্দা করার জন্য কড়া সমালোচনাও কম পড়বে, যা দৃশ্যত এখনও চলছে।’
জুটার সম্পাদক বলেন, 'জুটা সমাজের প্রত্যেকটি ক্ষেত্র, বিশেষ করে পড়ুয়া ও শিক্ষক সমাজকে, এই ঘটনার সমালোচনা করার আহ্বান জানাচ্ছে।’ তিনি খুব অবাক হয়ে আরও বলেন, 'আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এবং যারা সেখানে পড়াশোনা করে এবং সেই জায়গায় কাজ করে তাদের যদি এই ধরনের নৃশংসতা থেকে রক্ষা করা না যায়, তবে আমরা কীভাবে সভ্য জাতি হওয়ার দাবি করব?’ প্রসঙ্গত, রবিবার জেএনইউতে বেশ কিছু পুরুষ ও মহিলা মুখ ঢাকা বহিরাগতরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও মেয়েদের হস্টেলে হামলা চালায়। কাঠ ও ধাতব রড দিয়ে হামলা চালানো হয় পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের ওপর। ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশি ঘোষের চোখে আঘাত করা হয় লোহার রড দিয়ে, তাঁর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁদের অভিযোগ এবিভিপির সঙ্গে একজোট হয়ে আরএসএস ক্যাম্পাসে এই হামলা চালিয়েছে।
দেশের আর্থিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ বিজেপি সাংসদের