মাত্র ১২ দিনেই ৫.৪ সেমি পর্যন্ত বসেছে জোশীমঠ! স্যাটেলাইট ছবি সামনে আসতেই উদ্বেগে বিজ্ঞানীরা
মাত্র ১২ দিনেই ৫.৪ সেমি পর্যন্ত বসেছে জোশীমঠ! স্যাটেলাইট ছবি সামনে আসতেই উদ্বেগে বিজ্ঞানীরা
জোশীমঠ ঘিরে ক্রমশ আতঙ্ক বাড়ছে! আদৌও কি উত্তরাখন্ডের প্রাচীন এই শহরকে বাঁচানো সম্ভব? আর এই আশঙ্কার মধ্যেই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা অর্থাৎ ইসরো। সম্প্রতি পরিস্থিতি তাঁরা একটি রিপোর্ট দিয়েছেন। আর সেই রিপোর্ট বলছে, জোশীমঠ দ্রুত বসে যাচ্ছে। মাত্র ১২ দিনে 5.4 সেমি পর্যন্ত জমি বসে গিয়েছে বলেও জানানো হয়েছে ইসরোর তরফে। রিপোর্টের পাশাপাশি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বেশ কিছু ছবিও সামনে এনেছে ইসরো। আর তাতে স্পষ্ট ২৭ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারির মধ্যে 5.4 সেন্টিমিটার নীচে চলে গিয়েছে এই এলাকা।
পুস্কর সিং ধামী জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন
জোশীমঠে ব্যাপক ভাবে ধসের কারণে আর্মি হ্যালিপ্যাড এবং নরসিং মন্দির ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই অবস্থায় আজ শুক্রবার সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামী জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন। এর আগে একাধিকবার এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। এবার সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আলোচনা করবেন বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপুরণ দসেওয়া নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
১২ দিনের রিপোর্ট দেখে চমকে উঠছেন বিজ্ঞানীরা
ইসরো-র ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার (এনআরএসসি) জানাচ্ছে, ২০২২ সাল থেকে এই ধস শুরু হয়। এপ্রিল মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত একটি তথ্য দিয়েছেন এনআরএসসি। সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দীর্ঘ এই সাতমাসে প্রায় ৯ সেন্টিমিটার জমি ধসেছে। কিন্তু ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত অর্থাৎ ১২ দিনেরও একটি রিপোর্ট সংস্থা সামনে নিয়ে এসেছে। প্রকাশ্যে এনেছে বেশ কিছু স্যাটেলাইট ছবিও। আর তাতে দেখা যাচ্ছে, এই সময়ে ভূমি ধস ব্যাপক ভাবে বেড়েছে। আর তা বেড়ে 5.4 সেন্টিমিটারে দাঁড়িয়েছে বলে জানাচ্ছে ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার।
এই অবস্থায় দ্রুত বাড়ি এবং হোটেল ভাঙার কাজ করছে বিপর্যয় দলগুলি। তবে তা করতে হচ্ছে খুবই সাবধানে। যাতে কোনও ভাবে চাপ না তৈরি হয় সে বিষয়টিকে মাথায় রাখতে হচ্ছে বিজ্ঞানীদের। শুধু তাই নয়, বাড়ি কিংবা হোটেল ভাঙার ক্ষেত্রে কোনও রকমের ড্রিল মেশিন ব্যাবহার করা হচ্ছে না। এছাড়াও বেশ কিছু বিষয়কে মাথায় রেখেই এই কাজ সারছেন বিজ্ঞানীরা। এমনটাই জানা জাছে।
গত ২ বছর ধরে একটু একটু করে ধসে পড়ছিল জোশী মঠ
বলে রাখা প্রয়োজন, গত ২ বছর ধরে একটু একটু করে ধসে পড়ছিল জোশী মঠ। সেই রিপোর্ট তৈরিও করেছিল উত্তারখণ্ড সরকার। তা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জোশীমঠে এই মুহূর্তে ২০,০০০ মানুষ বাস করেন। তার মধ্যে ৭২৩টি বাড়িতে ফাটল ধরেছে। ১৩১টি পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জলপথে পর্যটনে নয়া দিশা! বিশ্বের সবথেকে লম্বা রিভার ক্রুজ MV Ganga Vilas-এর উদ্বোধন মোদীর