বালাকোটে কতজন জঙ্গি মরেছে তা প্রযুক্তি দিয়ে 'ট্র্যাক' করে ফেলল ভারত, উঠে এল আসল সংখ্যা
গত মাসের ২৬ তারিখে পাকিস্তানের বালাকোট সহ চাকোতি ও মুজফফরাবাদে ভারতীয় বায়ুসেনার হামলা চলে।
গত মাসের ২৬ তারিখে পাকিস্তানের বালাকোট সহ চাকোতি ও মুজফফরাবাদে ভারতীয় বায়ুসেনার হামলা চলে। সেই হামলায় বোমা ফেলে উড়িয়ে দেওয়া হয় জঙ্গি ঘাঁটি। চাকোতি ও মুজফফরাবাদে হামলা হলেও খবরের শিরোনামে বারবার উঠে এসেছে বালাকোটের নাম। কারণ এখানেই জইশের আসল প্রশিক্ষণের ঘাঁটি ছিল।
এই জঙ্গি ঘাঁটিতে কতজন জঙ্গি ছিল বা কতজনই বা মারা গিয়েছে তা জল্পনা চলছিল। তবে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা এনটিআরও-র মাধ্যমে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে জানা গিয়েছে, বালাকোটে হামলার আগের মুহূর্তে ৩০০টি মোবাইল সংযোগ অ্যাক্টিভ ছিল।
Sources: NTRO surveillance of JeM Balakot camp in days leading up to air strike by IAF confirmed around 300 active mobile connections in facility pic.twitter.com/uwyzd0qpHB
— ANI (@ANI) March 4, 2019
এতগুলি মোবাইল ফোন অ্যাক্টিভ বা সক্রিয় থাকার ফলে ধরে নেওয়া যেতে পারে এই ক্যাম্পে কতজন জঙ্গি থাকতে পারে।
জাতীয় নিরাপত্তা আধিকারিক অজিত ডোভালের নেতৃত্বে কাজ করা এনটিআরও আগে থেকেই এই এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছিল। কেন্দ্র বায়ুসেনাকে হামলার ছাড়পত্র দেওয়ার পর থেকেই বালাকোটের জইশ ঘাঁটি নজরদারিতে ছিল।
এদিকে এক ইতালীয় সাংবাদিক জানাচ্ছেন, পাকিস্তানি বায়ুসেনার বিমানে চাপিয়ে জঙ্গিদের দেহ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনা বালাকোটে জইশ ই মহম্মদ জঙ্গিদের ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। একেবারে পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকে হামলা চালানো হয়েছে। সেই হামলার পর পাক বায়ুসেনার বিমানে করে অন্তত ৩৫ জনের দেহ সরানো হয়েছে বলে ওই ইতালীয় সাংবাদিক দাবি করেছেন।