বারমের থেকে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিলেন যশবন্ত সিং
রাজস্তানের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য আমিই বসুন্ধরা রাজের নাম নিয়েছিলাম। এমনকী রাজনাথের নাম আমিই নিয়েছিলাম সভাপতি পদের জন্য। ওরা আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দেওয়ার পর বারমেরে এক জনসভায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন যশবন্ত।
বারমের থেকে বিজেপি প্রার্থী করেছে কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে আসা অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিক কর্নেল সোনারাম চৌধুরি। যশবন্ত সিংয়ের সমর্থকদের কথায়, বরিষ্ঠ নেতাদের কোণঠাসা করে দলে যোগ দেওয়া নতুন প্রার্থীদের পুরস্কার দেওয়াটা অত্যন্ত অযৌক্তিক।
বসুন্ধরা রাজে, রাজনাথ সিং আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, বললেন যশবন্ত সিং
এর আগে ২০০৯ সালে তাঁর লেখা বইতে মহম্মদ আলি জিন্নার সম্পর্কে প্রশংসা করায় দল থেকে যশবন্ত সিংকে বহিস্কার করেছিল বিজেপি। এখন জল্পনা শুরু হয়েছে দলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করায় দ্বিতীয়বারের জন্য তাঁকে দল থেকে বহিস্কার করা হবে কি না।
গতবারের লোকসভা নির্বাচনে দার্জিলিং থেকে দাঁড়িয়েছিলেন যশবন্ত সিং। জয়ীও হয়েছিলেন। ৭৬ বছর বয়সী এই প্রবীন রানীতিবিদের কথায় এবছরই তার শেষবারের মতো লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়ানো। তাই নিজের শহর থেকেই লড়তে চেয়েছিলেন যশবন্ত সিং।
এদিকে যশবন্তের অনড় মনোভাবের সমালোচনা করেন দলের নেতা অরুণ জেটলি। কটাক্ষের সুরে জেটলি বলেন, নেতাদের শেখা উচিত না শব্দটাও মেনে নিতে হয়।
এদিকে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে যে, বিজেপি ছাড়তে পারেন যশবন্ত সিং। তাঁকে এপ্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমি এটা করতে চাই না। দলের কর্মীদের মত আমার এটা করা উচিত।
এদিকে বারমের থেকে সোনারাম চৌধুরিকে দাঁড় করানোর পিছনে বিজেপির ব্যাখ্যা, কর্নেল চৌধুরি জাট। বারমেরে অধিকাংশ জাটেদেরই বসবাস। যশবন্ত সিং ঠাকুর তিনি রাজপুতদের ভোটে প্রভাব ফেলতে পারেন। সেই কারণেই কর্নেল চৌধুরিকে বারমেরে দাঁড় করানো হয়েছে।
যশবন্ত অবশ্য বলছেন,দলে বহিরাগতদের ভিড় বেড়ে গিয়েছে। এদের মধ্যে থেকে আসল বিজেপি নকল বিজেপিকে বেছে আলাদা করতে হবে।