ভারত-জার্মানির চুক্তি স্বাক্ষর, সমসাময়িক অংশীদারিত্বের জন্য শক্তিশালী পদক্ষেপ দুই দেশের
ভারত-জার্মানির চুক্তি স্বাক্ষর, সমসাময়িক অংশীদারিত্বের জন্য শক্তিশালী পদক্ষেপ দুই দেশের
ভারত ও জার্মানি সমসাময়িক অংশীদারিত্বের জন্য শক্তিশালী পদক্ষেপ নিল। সোমবার দুই দেশ মোবিলিটি পার্টনারশিপ বা গতিশীল অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করল। জার্মানির সঙ্গে এই চুক্তি স্বাক্ষর করে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি এবং পাকিস্তান থেকে উদ্ভূত আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ নিয়ে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
ভারত ও জার্মানের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ে সোমবার গতিশীলতা অংশীদারিত্বের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও জার্মানিত বিদেশমন্ত্রী অ্যানালেনা বেয়ারবক ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এর ফলে দুই দেশের মানুষের অধ্যয়ন, গবেষণা এবং কাজ করা সহজ হবে। এটিকে দুই দেশের মধ্যে মেলবন্ধনকে আরও শক্ত করবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
জার্মানির বিদেশমন্ত্রী অ্যানালেনা বেয়ারবক বলেন, বিশ্ব যখন কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে তখন যৌথ অংশীদারিত্ব এবং একসঙ্গে থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। পরে যৌথ মিডিয়া ব্রিফিংয়ে জয়শঙ্কর রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানির বিষয়ে ভারতের সিদ্ধান্তকে রক্ষা করে বলেন যে, প্রক্রিয়াটি বাজার শক্তি দ্বারা চালিত হয়েছিল।
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১০টি দেশ মিলিত হয়ে রাশিয়ার থেকে বেশি জীবাশ্ম জ্বালানি আমদানি করেছে। জয়শঙ্কর তেমন তুলে ধরেন আফগানিস্তানের কথা। তুলে ধরেন পাকিস্তান থেকে উদ্ভূত আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের সমস্যার কথা। তিনি বলেন, পাকিস্তান যদি আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ অব্যাহত রাখে তবে কোনওদিনই ভারত আলোচনার দুয়ার খুলবে না।
বেয়ারবক বলেন, জার্মানি ভারতের সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করতে চায়। ভারত বিশ্বব্যাপী অনেক দেশের জন্য একটি রোল মডেল হয়ে উঠেছে এ ব্যাপারে। ইউক্রেনের বিষয়ে জয়শঙ্কর বলেন, ভারতের অবস্থান এ ব্যাপারে খুবই পরিষ্কার। ভারত আগেও জানিয়েছে, এটি যুদ্ধের যুগ নয়। আলোচনার মাধ্যমে সংঘাতের সমাধান করা উচিত।
চিনের দ্বারা সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে বেয়ারবক বলেন, চিনের হুমকিগুলি মূল্যায়ন করার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি চিনকে তাদের প্রতিযোগী এবং প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে জি-২০ সভাপতিত্ব গ্রহণ করেছে। তার আগে বেয়ারবক দুই দিনের সফরে নয়াদিল্লিতে রয়েছেন। তাঁর এই সফরে জ্বালানি, বাণি্জ, প্রতিরক্ষ ও নিরাপত্তা এবং জলবায়ু পরিবর্তন-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা করবে।
এর আগে একটি বিবৃতিতে বেয়ারবক বলেন, ভারত সরকার শুধুমাত্র জি ২০-তে নিজের লোকেদের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। যখন শক্তি সম্প্রসারণের কথা আসে, তখন ভারত শক্তি পরিবর্তনের সঙ্গে আগের থেকে আরও অনেক বেশি এগিয়ে যেতে চায়। জার্মানি ভারতের সেই উদ্যোগে পাশে দাঁড়িয়েছে।